পর্তুগালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০২২, ৯:২৫:৩৮ অপরাহ্ন
শাহ মোহাম্মদ তানভীর আহমদ, পর্তুগাল : যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাস ১৭ মার্চ ২০২২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করেছে।
জন্মদিন উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুনের সমন্বয়ে দূতাবাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। পাশাপাশি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ রঙ্গিন পোশাকে সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে উপস্থিতি হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটির কর্মসূচির সূচনা করেন ।
বিকেলে চ্যান্সারী প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে এতে অংশগ্রহণ করেন পর্তুগাল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরন উপর গুরুত্বারোপ করেন। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল রাজী তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সকল শিশু কিশোরের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে আর বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস একই সুত্রে গাথা। বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী । তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাস পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে তিনটি পৃথক বয়সের ক্যাটাগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীর মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দের প্রতি দোয়া কামনা করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে মোনাজাত করা হয়।