কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৩, ১১:২৭:৩২ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: আম খেতে চায়না এমন লোক খুব কমই আছে। শিশু থেকে বুড়ো, সব বয়োসী লেকেরই পছন্দের ফল আম। আর বাঙালি হলে তো কথাই নেই।
কিন্তু এই সুস্বাদু আমটাই অনেক সময় শারীরিক ক্ষতির কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে আমে কেমিক্যাল, কার্বোহাইড্রাইট কিংবা ফরমালিন মেশান/ প্রয়োগ করেন যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিকর। এগুলো মিশ্রণ করলে অবশ্য আমের গায়ে লক্ষণ প্রকাশ পায়, যা আম কেনার সময় একজন ভোক্তার জানাটা অত্যন্ত জরুরি।
কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার ৮টি সহজ উপায়-
প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা কেমিক্যাল যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
আম গাছে থাকা অবস্থায়, বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ক্যামিক্যাল বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।
কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।
হিমসাগর ছাড়াও আরও নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।
আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে।
আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে কোনও সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনও স্বাদই নেই, বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া।
আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ এবং এটি অবশ্যই কেমিক্যালমুক্ত। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।