মালয়েশিয়ার আজিল ক্যাম্পে বাংলাদেশীদের খোঁজ নিলেন হাইকমিশনার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৭:০১ অপরাহ্ন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু প্রদেশের আজিল ইমিগ্রেশন deportation ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের খোজঁ নিতে কুয়ালালামপুর থেকে হাই কমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার গিয়েছেন। তার সাথে ছিলেন শ্রম কাউন্সেলর (২) মো হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো: রাজিবুল আহসান।
এ ছাড়াও সাথে ছিলেন দূতাবাসের শ্রম উইং এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো আনোয়ারুল ইসলাম এবং কল্যাণ সহকারী মো.মোকসেদ আলী।
২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকমিশনার ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে বৈঠক করেন বাংলাদেশীদের দ্রুত দেশে ফেরত প্রেরণ এবং অবস্থানকারীদের মালয়েশিয়াতে পুনরায় কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বাংলাদেশীদের দেখভাল করার জন্য ধন্যবাদ জানান। ক্যাম্প কমান্ডার বন্দীদের বিষয়ে ক্যাম্পের উদ্যোগ ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো এবং সম্ভাব্য আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কর্মের, পড়ালেখা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আগত বাংলাদেশীরা ইমিগ্রেশন সম্পর্কিত নানান অনিয়মের কারণে গ্রেফতার হলে বিচারে জেল জরিমানা এবং শেষে দেশে ফেরত প্রেরণ করে। দেশে ফেরত পাঠানোর আগ পর্যন্ত ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে অবস্থান করে এবং মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ফ্লাইটে তুলে দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এ ক্ষেত্রে যাদের ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে তাদের জন্য শুধু মাত্র ফ্লাইট টিকিট দিতে হয়। যাদের ভ্যালিড পাসপোর্ট নেই তাদের জন্য হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নাগরিকত্ব নিশ্চিত না হয়ে কারো অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা যাবে না। এক্ষেত্রে নাগরিকত্ব নিশ্চিত হয়ে হাইকমিশন ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করছে। যাদের পরিবার ফ্লাইট টিকিট দিতে অসমর্থ হলে বা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না সেক্ষেত্রে হাইকমিশন ফ্লাইট টিকিট ব্যবস্থা করে।
অপরদিকে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন যাদের রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে নাম নিবন্ধন করেছে, তাদের কোম্পানি কাগজ পত্র ক্যাম্পে দাখিল করলে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।