নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরী দাবী চা শ্রমিকদের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০২১, ২:২৬:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা: নূন্যতম মজুরি বোর্ড কর্তৃক চা শ্রমিকদের জন্য খসড়া সুপারিশ বাতিলের দাবিতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলার লস্করপুর ভ্যালীর ২৩টি চা বাগানের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা চা শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লস্করপুর ভ্যালীর সভাপতি রবিন্দ্র গৌর।
এ সময় ভ্যালীর সেক্রেটারী অনুরুদ্ধ বাড়াইক ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক নিপেন পাল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতারা বলেন, বাংলাদেশের চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের চা সংসদের প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। খসড়া চুক্তিতে উল্লেখ আছে, প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় সেটা সঠিক নয়।
তারা আরো বলেন, প্রতি দুই বছর স্থলে জাগায় তিন বছর অন্তর অন্তর চুক্তি হলে শক্তিশালী মালিক পক্ষের দ্বারা অপেক্ষাকৃত মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কত তারিখে কার্যকর হয়ে কত তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে চুক্তি সম্পাদনের তারিখ বাংলাদেশের চা সংসদ ও শ্রমিক ইউনিয়ন আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে থাকেন। তবে বলা আছে, শিক্ষানীতির সুপারিশ চা বাগান সৃষ্টি লগ্ন থেকে তার সন্তানরা চা-বাগানের কাজে সংযুক্ত থাকে। দেড়শ বছরের চা বাগান রীতি অনুযায়ী একজন স্থায়ী শ্রমিক যে কোনো কারণে অবসর হলে তার পরিবার বা নিকটস্থ আত্মীয়কে সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
তাই পূর্বের রিতি অনুযায়ী চা শ্রমিকদের শিক্ষা নিবাস কাল কোন সময় ছিল না আমরা এখনো চাইনা সুপারিশ অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি বর্তমানে চা শ্রমিকরা ১২০ টাকা মজুরী পাচ্ছে তাছাড়া চা ইউনিয়ন ২০১৯ সালে পহেলা জানুয়ারিতে ১২০ টাকা মজুরী কার্যকর করেছে। আড়াই বছর যাবত আমরা যে ১২০টাকা মজুরী পাচ্ছি, সেই ১২০ টাকা আড়াই বছর পরে মজুরী বোর্ড কর্তৃক ঘোষণা করার কোন মানে হয় না।
কিন্তু বর্তমান বিশ্ব বাজারে খাদ্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা শ্রমিকদের লেখাপড়া করা খুবই কষ্টকর হচ্ছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এ সময় তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়াসহ মজুরি বোর্ডের কাছে নূন্যতম ৩০০ টাকা মজুরী প্রদানের জন্য দাবি করেন। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।