ওয়াজের নামে উগ্রবাদ প্রচারকদের তালিকা হচ্ছে, কালান্তর প্রকাশনী গোয়েন্দা নজরদারিতে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২১, ৪:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক : বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা আলি হাসানকে উগ্রবাদ ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতারের (৫ মে) পর তার বই প্রকাশক কালান্তর প্রকাশনীর উপর গোয়েন্দা নজরদারী রাখা হচ্ছে। ওদিকে উগ্রবাদ ছড়ানো ইসলামী বক্তাদের তালিকা হচ্ছে।
প্রকাশ, অনেকগুলো বই লিখেছেন উসামা। এসব বইয়ের মধ্যে জিহাদের বিষয়ে অপব্যাখ্যা থাকার অভিযোগ আছে।
বই লেখা ও অনুবাদের মাধ্যমে তরুণদের ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করছেন আলি হাসান উসামা মর্মে সংবাদ এসেছে পত্রিকায়। তার এসব বই প্রকাশ করছে সিলেটের বন্দরবাজারের কুদরত উল্যাহ মার্কেটের কালান্তর প্রকাশনী।
একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সিলেটের কালান্তরসহ যেসব প্রতিষ্ঠান উসামার জিহাদি বই-পুস্তক প্রকাশ ও প্রচার করে আসছে, তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ওদিকে উগ্রবাদ ছড়ানো ইসলামী বক্তাদের তালিকা হচ্ছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, আলি হাসান উসামার মতো ওয়াজের নামে যারা প্রতিনিয়ত উগ্রবাদ প্রচার করে আসছেন তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে তদন্ত ও গ্রেফতারের স্বার্থে ওই তালিকায় থাকা ইসলামী বক্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ১০-১২ জন ইসলামী বক্তা রয়েছেন, যারা কট্টর বয়ানের মাধ্যমে উগ্রবাদ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। কোরআন হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যার বদলে তারা মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে এখনই জিহাদের সময় বলে তরুণদের ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সিটিটিসির একটি সূত্র জানায়, ইসলামী বক্তাদের ওই তালিকায় মুফতি হারুন ইজহারের নাম রয়েছে। তবে সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ঘটনায় এলিট ফোর্স র্যাব তাকে চট্টগ্রামের নিজ মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে। সহিংসতার মামলার রিমান্ড শেষে সিটিটিসির কর্মকর্তারাও তাকে ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।
সিটিটিসির ওই সূত্র জানায়, আলি হাসান উসামা, মুফতি হারুন ইজহার ছাড়াও ওই তালিকার প্রথম দিকে নাম রয়েছে মাহমুদুল হাসান গুনবী নামে এক ইসলামী বক্তার নাম। মাহমুদুল হাসান গুনবি দীর্ঘ দিন ধরে ওয়াজের নামে উগ্রবাদ প্রচার করে আসছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযানের কারণে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। তাকে যে কোনও সময় গ্রেফতার করা হবে বলে জানান সিটিটিসির ওই কর্মকর্তা। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন