কুয়েট: ২৪ ঘণ্টা পর মুক্ত উপাচার্য, রাজনীতি বন্ধ থাকবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: অবরুদ্ধের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদ মুক্ত হয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টার থেকে তিনি মুক্ত হন।
এদিকে কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-ভিসি ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা প্রশাসকশূন্য ঘোষণা করেন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এলাকা ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করছে। ফলে তারা কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রাজনীতি বন্ধ থাকবে, সম্পৃক্ততা পেলে বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। যদি রাজনীতির সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম।
এ ছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম জানান, গতকালের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে।
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
এদিকে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় গতকালের মতো আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের মেডিক্যাল সেন্টারে দ্বিতীয় দিনেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা গতকালের হামলার ঘটনায় ভিসির পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন।




