যে কারণে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ‘আসল রহস্য’ উন্মোচিত হয় নি জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩:১৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বিডিআর বিদ্রোহের ‘আসল রহস্য’ এখনও উন্মোচিত হয়নি বলে দাবি করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ। এ ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তিনি।
আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র প্রধানতম চরিত্র মঈন ইউ আহমেদ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের এসব ভাষ্য তুলে ধরেন। ওই ঘটনায় এবারই প্রথম কথা বললেন বিদেশে অবস্থানরত মঈন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল (অব.) মঈন ইউ আহমেদ।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মঈন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দেই, তখন আমাকে বলা হয়, যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী? এই তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন, তা আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরেও প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেনি দেশের মানুষ। হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে বিগত বছরে শুধু সাবেক সরকারের কথা শুনতে হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনেক কিছুই জানা নেই। জনগণও জানতে পারেনি।
বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে জড়িতদের বের করতে সক্ষম হবেন এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেসময় অনেকের অসহযোগিতা এবং অনেকে জেলে থাকায় তদন্তের কাজ ঠিকভাবে করা যায়নি। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ ঘটনার পুনঃতদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
মইন ইউ আহমেদ ২৫ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন। সেখানে ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই। অনেকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। ভূমিকা কী ছিল, তা তিনি জানাতে চান।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর অব্যবহৃত কিছু অস্ত্র বিডিআরকে দেওয়া নিয়ে বাহিনীটির তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের (হত্যাকাণ্ডে নিহত) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তাঁর কথা হয়। তিনি অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন। তখন পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি (বিডিআরের ডিজি) কিছুই জানতেন না বলেই সাবেক সেনাপ্রধানের বিশ্বাস।




