শোকাবহ আগস্টে হোক আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ানোর দৃপ্ত শপথ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১১:১৮:৪০ অপরাহ্ন
মকিস মনসুর
রক্তঝরা ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস হচ্ছে বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য বেদনাবিধূর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক গভীর মর্মস্পর্শী শোকের দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস জানিনা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে পালন করা হবে কিনা, এখন পর্যন্ত কোনো উদ্দ্যোগের খবর চোখে পড়েনি। তবে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের এক ভিডিও বার্তায় “চলো চলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর চলো; মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ১৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ৫টায় সেন্ট্রাল লন্ডনের “আলতাব আলী পার্কের শোক র্যালী সহ বহির্বিশ্বের প্রতিটি দেশে দেশে আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী সংগঠন এবং বহির্বিশ্বে বসবাসরত প্রবাসীদের পক্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ১২ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে সাংবাদিক এর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগকে উপদেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাহেবের বক্তব্য শুনলাম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও শ্রদ্ধা-সন্মান মিশ্রিত কথা বলেছেন, তবে ধানমন্ডির পুড়ে যাওয়া ৩২ নিয়ে তাঁর বক্তব্যে স্থান পায়নি!
অথচ জাদুঘরে রূপান্তরিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক বাসভবনটি আমাদের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। বাড়িটি কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। এটি এখন বাংলাদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর একটি জাতীয় সম্পত্তি। সবাইকে মনে রাখতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ও ঐতিহাসিক ৩২নং এর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে দেওয়া, সংসদ ভবন ও গণভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর, যে ৩২ নাম্বার বাড়িটি থেকে প্রথম স্বাধীনতার ডাক এসেছিলো সর্বোপরি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু যাদুঘর পুড়িয়ে দেওয়া এ নিয়ে সরকার এর পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য জাতি আশা করেছিলো। আজবধি কোনো বক্তব্য জাতি জানতে পায়নি! এটা খুবই দুঃখজনক।
আজ এই লেখা যখন লিখছি, তখন জানতে পারলাম সরকার এর পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি পুড়িয়ে দিলে ছুটি বাতিল করলে কি ইতিহাস মুছে ফেলা যায়। বঙ্গবন্ধুকে কখনো অস্বীকার করা যাবেনা। তাহলে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করতে হবে। “বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু” একে অন্যের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। বাংলাদেশ’ নামক ভূখণ্ডের উর্বর এই জমিনের প্রকৃত কৃষক তথা কারিগর হলো ৭১’এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা-জনতা। যার নেতৃত্বে ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আর যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ’ গড়ার মূল কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান..” এটিই সত্য আর এটিই প্রকৃত ইতিহাস..!!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের এক পযায়ে গত ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ বাধ্য করে জোর করে বিদেশে পাঠানোর পর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বহির্বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, জাতীয় চেতনার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, নারী জাগরণের প্রতীক বেগম রোকেয়া শাখাওয়াতের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা, সেনা নিবাসের ভেতরে সাত বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল ভাঙ্গা, অরক্ষিত রাখা গণভবন ও জাতীয় সংসদ ভবন লুট, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভষ্মীভূত করা, শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ার কারণে হত্যা, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি কিসের আলামত? এগুলো কোনো সরকার, দল বা ব্যক্তির সম্পদ নয়; রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ও জাতির শৌর্যবীর্র্যের প্রতীক।
আফগানিস্তানের তালেবানদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদেরকে। এসব ঘটনায় সেনা বাহিনিকে এক রকম নিষ্ক্রিয় প্রতীয়মান হয়েছে। যা আমাদের উৎকন্ঠাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা মনে করি দেশের দায়িত্ব গ্রহণকারি সেনাবাহিনি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্ত হাতে এসব দমন করতে হবে। রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে অপরাধী প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হোক। মনে রাখতে হবে আমাদের স্বাধীন দেশটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশ পরিচালনা করা উচিত। দল যার যার, দেশ সবার এই বোধ থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
মাতৃভূমির সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, জাতীয় বীর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারকসমূহের ওপর যেসব হামলা হচ্ছে উনাদের মতো আমি ও এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলতে চাই- হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, আজ শকুনের খামচিতে চিহ্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে! আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ। কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না, এই ঘটনা জাতি কখনো ও ভুলে যাবে না, যা ঘটছে তা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ধ্বংসের শামিল।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত সরকারের আমলে হত্যাকাণ্ডের বিচার করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। জাতিকে পুরাপুরি কলঙ্কমুক্ত করতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।’ জানিনা এটা আর করা সম্ভব হবে কি না। বাঙালী জাতি আজীবন গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করবে।
যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান, তবু নাহি ভয়, হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান’. আজকের এই দিনে স্বাধীন বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব. বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, কর্ণেল জামিল, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, প্রায় একই সময়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির বাসায় হামলা চালিয়ে শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্ত:সত্তা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াতের বাসায় হামলা করে সেরনিয়াবাত ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় বেন্টু খান সহ সকল শহীদানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু তুমি রবে এই বাংলায় অমর অক্ষয় হয়ে, যুগ থেকে যুগান্তরে জাতির হৃদয়ে চীরঅম্লান হয়ে বঙ্গবন্ধু মানে বাংলার আকাশ, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলার মানচিত্র, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু স্বাধীনতা এনেই দেননি, বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাঙালী জাতির আত্মপরিচয়। পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন, কিন্তু একটি জাতিকে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে মাত্র সাড়ে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।
আজ বিশ্বের দরবারে বাঙালী জাতির সন্তান হিসাবে গৌরব ও গর্বের সাথে উচ্চারণ করছি বাংলা আমার দেশ বাংলা আমার ভাষা. আমরা একেকজন রাষ্ট্রদূত হিসাবে বহন করে চলছি বাংলাদেশের লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা। বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ই আগষ্টে নিহত সকল শহীদানদের প্রতি শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা জানিয়ে আসুন আজ শোককে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যারত্ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ এই বিরাট ক্ষতি কাটিয়ে আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে, অতীতের আমাদের ইতিহাস- ঐতিহ্য তাই বলে। আওয়ামী লীগ বার বার উঠে দাঁড়িয়েছে। ঐতিহ্যাবাহী আওয়ামী লীগের দেশে বিদেশে কোটি কোটি আদশিক কর্মী যারা আছেন, কেউ মনোবল হারাবেন না। আজ না হয় আকাশ ভরা কালো মেঘ, বজ্রপাতের বিকট গর্জন! একটা সময় তার অবসান হবেই, ঝলমলিয়ে মেঘ ভেদ করে নতুন সূর্য উদিত হবে পুবাকাশে নিশ্চয়।
একাত্তরের দু:সময়ে ছিলো আওয়ামী লীগ, ৭৫ পরবর্তীতেও আওয়ামী লীগ জেগে ওঠে ছিলো, ইনশাআল্লাহ ২০২৪’র এই দু:সময়ের পরও আমরা ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠবো..! ভয় নেই মুজিব সৈনিক,”আমাদের রক্তে সংগ্রাম , আমরা মরে মরে-ই ইতিহাস রচনা করেছি—যুগে যুগে। ১৯৪৯ সাল থেকে সংগ্রাম, যুদ্ধ , মৃত্যু ও বিজয়ের মাধ্যমে ৭৫ বছর পূর্ণ করেছি আমরা। ঘুরে দাঁড়ালে ফিরে তাকাই না। কারণ; আমরা পতাকা, মানচিত্র, জাতীয় সঙ্গীত ও বাঙালীত্বের রক্ষাকবচ। আমরা আসবো দেশপ্রেমিক মানুষের মিছিলের অগ্রভাগে, জীবনকে তুচ্চ করে। আমরা শেখ হাসিনার সৈনিক, মুজিব আদর্শ আমাদের রাজনীতি; আমরা ৭৫ দাঁড়িয়েছি,আমরা এক এগারো তে দাঁড়িয়েছি, আমরা ২০২৪ তে ঘুরে দাঁড়াবো; ইনশাআল্লাহ।
অবুঝ, নির্বোধ আর নেপথ্যের স্বাধীনতাবিরোধী ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে আমাদের অভ্যন্তরীন পরিবেশ যতোই ওলটপালট এবং অস্হির হোকনা কেনো- তা কেবল ধোয়াশা, ক্ষণস্হায়ী এবং সাময়িক; হয়তো আমাদের দূর্বল উপলব্ধি শক্তি সতেজ ও মজবুত করা আর নিজেদের শোধরানোর জন্যই এমন বাস্তবতার সৃষ্টি.. তবে সত্যের জয় হবেই, আবারো ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো দু’লক্ষাধিক মা-বোন ও অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের আত্নত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বীর-জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে সুজলা,সুফলা শষ্যশ্যামলে ভরা উর্বর জমিন প্রিয় মাতৃভূমি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ’ আমরা গড়বোই।
বাংলাদেশের এই সংকটে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে এবং শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পরম করুণাময় মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করা সহ আমাদের সবার হোক দীপ্ত শপথ। জয় বাংলা,, জয় বঙ্গবন্ধু, প্রানের বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।।
লেখক: মোহাম্মদ মকিস মনসুর, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক।