যুদ্ধাপরাধী মুঈনুদ্দীনের পক্ষে ব্রিটিশ আদালতের রায়: ১৩৭ বিশিষ্টজনের নিন্দা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৪, ৫:৪৯:০১ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনুউদ্দীনের মানহানির মামলায় দেশটির আদালতে তার পক্ষে রায় প্রদানে নিন্দা জানিয়েছেন ১৩৭ বিশিষ্টজন।
যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতে গত ২০ জুন প্রদত্ত মুঈনুউদ্দীন (বাদী) বনাম স্বরাষ্ট্র সচিব (বিবাদী) মামলার রায় সম্পর্কে গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’, ‘প্রজন্ম ৭১’ (মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তান) ও ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট’।
শনিবার (২২ জুন) তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে চৌধুরী মুঈনুউদ্দীনের জড়িত থাকার প্রামাণিক দলিল থাকা সত্ত্বেও, তাকে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের বিরুদ্ধে মানহানির দাবি করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতি একটি মারাত্মক আঘাত বলে আমরা মনে করি।
‘বিশ্বের প্রতিটি দেশের নিজস্ব বিচারব্যবস্থা আছে, যা স্বাধীন ও সার্বভৌম হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমরা মনে করি বাংলাদেশ যেমন যুক্তরাজ্যের আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, তেমনি যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মতো নিজস্ব আইনি প্রক্রিয়ায় চৌধুরী মুঈনুউদ্দীনের মামলার রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। আমরা ব্রিটিশ সরকারকে সদ্য প্রদত্ত রায়ের প্রভাব পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ চৌধুরী মুঈনুউদ্দীনসহ প্রবাসে পলাতক সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও রায় কার্যকর করার জন্য আইনি ও কূটনৈতিক তৎপরতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে চৌধুরী মুঈনুউদ্দীনের আসন্ন মানহানির মামলায় তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে যুক্তরাজ্যে দক্ষ আইনজ্ঞ নিয়োগ করার জন্যও সরকারের কাছে আবেদন করছি।’
আবেদনকারী ১৩৭ জনের মধ্যে রয়েছেন – শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অনুপম সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ফওজিয়া মোসলেম, শহীদজায়া সালমা হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শফিকুর রহমান, সমাজকর্মী আরমা দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবেদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, কথাশিল্পী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মানবাধিকার নেতা উষাতন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, সমাজকর্মী মালেকা খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সঙ্গীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন মামুনুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূ-তত্ত্ববিদ মো. মকবুল-এ ইলাহী চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, অ্যাডভোকেট রাণা দাস গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্ত্তী জুয়েল, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী কামাল ইকরাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, মানবাধিকার নেতা কাজল দেবনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী ডালিয়া নওশিন, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, পদ্মশ্রী সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লালন সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন, অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, প্রফেসর ড. ইফতেখারউদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), ডা. ইকবাল কবীর, অধ্যাপক মো. আলমগীর কবীর, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, লেখক গবেষক গোলাম কুদ্দুস, আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ, শহীদসন্তান ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, শহীদসন্তান শমী কায়সার, অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অ্যাডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান নূজহাত চৌধুরী শম্পা, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, লেখক ব্লগার মারুফ রসূল, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, সংস্কৃতিকর্মী কাজল ঘোষ, সংস্কৃতিকর্মী শামসুল আলম সেলিম, সমাজকর্মী আবু সাদাত মো. সায়েম, চারুশিল্পী ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী, চলচ্চিত্রনির্মাতা ইসমাত জাহান, ছাত্রনেতা পলাশ সরকার, সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন, সংস্কৃতিকর্মী বাহাউদ্দিন গোলাপ, ছাত্রনেতা আশেক মাহমুদ সোহান, সমাজকর্মী কেশব রঞ্জন সরকার, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, সমাজকর্মী এ বি এম মাকসুদুল আনাম, অ্যাডভোকেট মালেক শেখ, সমাজকর্মী কামরুজ্জামান অপু, ছাত্রনেতা হারুণ অর রশিদ, ছাত্রনেতা অপূর্ব চক্রবর্তী, লেখক আলী আকবর টাবি, চলচ্চিত্রনির্মাতা লুবনা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক শরীফ নুরজাহান, সাংবাদিক সুশীল মালাকার, সাংবাদিক আবু সালেহ রণি, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, ড. তপন পালিত, ব্লগার অমি রহমান পিয়াল, চলচ্চিত্রনির্মাতা পিন্টু সাহা, সমাজকর্মী হাসান আব্দুল্লাহ বিপ্লব, অ্যাডভোকেট রত্নদীপ দাস রাজু, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, শহীদসন্তান সাংবাদিক জাহিদ রেজা নূর, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবু, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রানী শীল, ড. তানজীর মান্নান রূপন, অনলাইন এক্টিভিস্ট এএসএম শরিফুল হাসান, চারুশিল্পী ইফতেখার খান বনি, সমাজকর্মী আলমগীর কবির, সমাজকর্মী মো. হেলালউদ্দিন, সমাজকর্মী সুমনা লতিফ, সংস্কৃতিকর্মী শামস রশীদ জয়, ডা. সাদমান সৌমিক সরকার, আবৃত্তিশিল্পী আরেফিন অমল, অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, মানবাধিকারকর্মী ফয়সাল হাসান তানভীর, সমাজকর্মী প্রাণতোষ তালুকদার, সমাজকর্মী আবদুল হালিম বিপ্লব, সমাজকর্মী কাজী রেহান সোবহান, সমাজকর্মী মো. আবদুল্লাহ, সমাজকর্মী আনোয়ার ইসলাম রানী, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দীলিপ মজুমদার, সংস্কৃতিকর্মী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সংস্কৃতিকর্মী সুচরিতা দেব, অনলাইন এক্টিভিস্ট এইচএম রিয়াজ আবীর, লেখক সাব্বির রহমান খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী খলিলুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, ডা. একরাম চৌধুরী, গবেষক তাপস দাস, সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী।