ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে এক পা দক্ষিণ আফ্রিকার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৪, ১০:৩১:৪৩ অপরাহ্ন
অনুপম স্পোর্টস ডেস্ক: চলমান বিশ্বকাপের সুপার এইটে গ্রুপ ‘টু’ এর ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থেমে যায় থ্রি লায়ন্স। শেষ তিন ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। অথচ সেই ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। দারুণ বোলিংয়ে ইংলিশদের থেকে জয় ছিনিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল প্রোটিয়ারা।
শুক্রবার (২১ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে রিজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। হেনড্রিকস ঠান্ডা মাথায় খেলতে থাকলেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ডি কক। ২২ বলে তুলে নেন ফিফটি। উদ্বোধনী জুটিতে হেনড্রিকসের সঙ্গে গড়েন ৫৯ বলে ৮৬ রানের জুটি। দশম ওভারে মঈন আলীর বল হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে হেনড্রিকস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ২৫ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার।
তবে ডি কক ব্যাট চালানো থামাননি। যদিও বেশিক্ষণ আর টেকেননি। জোফরা আর্চারের শর্ট বল তার ব্যাটের কাণায় লেগে পেছনে গেলে এক হাতে দারুণভাবে তালুবন্দি করেন বাটলার। ৩৮ বলে ৬৫ রান করে ফেরেন ডি কক। তিনে নেমে ৯ রান করে রান আউট হন ক্লাসেন। চারে নামা মিলার এসে ধরেন দলের হাল। তবে শেষ ওভারে বিদায় নিতে হয় তাকে। আর্চারের বলে তার নেওয়া শট লং অফে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন ব্রুক। ২৮ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার।
ওভারটির পরের বলেই ইয়ানসেনকে ফেরান আর্চার। শেষ ওভারে এই দুই উইকেটসহ তিনি মোট ৩ উইকেট নেন। তবে ৪ ওভার বল করে দেন ৪০ রান। একটি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও আদিল রশিদ।
লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ৬১ রান তুলতেই ড্রেসিংরুমে চার ইংলিশ ব্যাটসম্যান। জীবন পাওয়ার পরও বেয়ারস্টো ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এর আগে ফিল সল্ট করেন মাত্র ১১ রান। অধিনায়ক জস বাটলার সীমানায় আটকে যান ১৭ রানে। মঈন আলীর ব্যাট থেকে ৯ রানের বেশি আসেনি।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে স্বল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোনের প্রতি আক্রমণে এলোমেলো হয়ে যায় তাদের বোলিং। থিতু হওয়ার পর বাউন্ডারির ফোয়ারা ছুটিয়ে চোখ রাঙানি দেন তারা।
বার্টমানের করা ১৭তম ওভারে ২১ রান তুলে ব্রুক ও লিভিংস্টোন জয়ের ব্যবধান ১৮ বলে ২৫ রানে নামিয়ে আনেন। তখন মনে হচ্ছিল ইংলিশদের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু পরের ওভারেই ম্যাচ পাল্টে যায়।
রাবাদা ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লিভিংস্টোনকে আউট করে ভাঙেন ভয়ংকর এই জুটি। ৪২ বলে ৭৮ রান করেন তারা। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান পায় ইংল্যান্ড। পরের ওভারে আসে ৭ রান। মূলত এই দুই ওভারে কোনো বাউন্ডারি না আসায় শেষ ওভারে লক্ষ্য ১৪ রানে আটকায়। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে আক্ষেপে পুড়তে হয় তাদের। লিভিংস্টোন ১৭ বলে করেন ৩৩ রান। ব্রুক ৩৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ৭ চারে।