সিলেট: রাস্তার পাশে বিছনাকান্দিতে গ্যাস বের হচ্ছে, বাপেক্সের নমুনা সংগ্রহ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৪, ১০:৫০:৫৭ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: সিলেটে মাটির নিচ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস। গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের নতুন ভাঙা (আনফরের ভাঙ্গা) নামক এলাকায় রাস্তার পাশে গত চার-পাঁচ দিন ধরেই এমন দৃশ্য দেখতে পায় স্থানীয় জনতা। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতূহল দেখা দেয়। আশপাশ এলাকার উৎসুক জনতাও দেখতে ভিড় করেন।
এমন সংবাদ গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলামের নজরে আসার পর শনিবার (৮ জুন) দুপুর ২টায় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স) বিষয়টি জানানো হয় ।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের ব্যবস্থাপক ও টিমপ্রধান এস এম নাফিফুন আরফিন ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মুহিত আলম, সিলেট গ্যাসফিল্ডের সহকারী ব্যবস্থাপক শুভংকর সরকার।
এ ছাড়া তোয়াকুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সজীব আহমদও ছিলেন। এ বিষয়ে সিলেট গ্যাসফিল্ডের সহকারী ব্যবস্থাপক শুভংকর সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পরিদর্শন করেছেন। রোববার গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
বায়ুজিন না ন্যাচারাল গ্যাস কি না বোঝা যাচ্ছে না। অপাতত ওই স্থানটি মাটিচাপা ও রেড জোন হিসেবে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে দূরত্ব বজায় রাখতে ১৩ নম্বর বিছনাকান্দি ইউনিয়ন ইউপি (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছি। রোববার বাপেক্সের প্রতিনিধি টিম এসে পরিদর্শন ও গ্যাসের স্যাম্পল সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে গ্যাসের বিষয়টি বায়ুজনিক, ন্যাচারাল না থার্মোজনিক।
এ বিষয়ে বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের ব্যবস্থাপক ও টিমপ্রধান এস এম নাফিফুন আরফিন গণমাধ্যমকে বলেন, পরিদর্শন ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট ইউএনও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করায় আমরা টিমসহ ঘটনাস্থলে খুব দ্রুত চলে এসেছি। পেক্সের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য ৩ বোতল গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজ নির্মাণে কয়েক জায়গায় পাইলিং করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে এ জায়গায় পাইলিংয়ের সময় গ্যাসের আলামত পেয়েছেন বলে তাকে জানিয়েছেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। গ্যাসের নমুনা পরীক্ষা করার পর এখানে সব ধরনের সার্ভে করা হবে। তার আগে গ্যাসের নমুনা বাপেক্সের ল্যাবে পরীক্ষা করলেই জানা যাবে গ্যাসের ধরন বায়ুজনিক না থার্মোজনিক। গ্যাসের অরিজিনটা বোঝার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গ্যাসের প্রেসার ভালো আছে এখানে পজেটিভ কিছু একটা হবে।
সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় জায়গাটি পানিতে তলিয়ে থাকা অবস্থায় পানির নিচে বুদবুদ করছিল। পানি কমে যাওয়ার পর পাশের বাড়ির নাছির উদ্দীন সেখানে গ্যাস লাইটের আগুন লাগালে আগুন ধরে যায়। এরপর থেকেই সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে উৎসুক জনতা।