শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন বাড়াতে পারে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জুন ২০২৪, ১০:৩৪:০৪ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া-চীনসহ অন্য প্রতিপক্ষদের ক্রমবর্ধমান উত্থানের শঙ্কায় ভুগছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তাদের হুমকি মোকাবিলায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশটিকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন বাড়াতে হতে পারে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা প্রণয় ভাদ্দি এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান। দেশটির আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হোয়াইট হাউসের এই কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের প্রতিপক্ষরা যদি (নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়ানোর বর্তমান নীতিতে) পরিবর্তন না আনে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদেরও (কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের) মোতায়েন বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেবে। যদি প্রেসিডেন্ট এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সেটা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে।”
প্রণয় ভাদ্দি বলেন, “যদি এ ঘোষণা আসে, তাহলে সেটা দৃঢ়সংকল্পে পরিণত হবে যে, আমাদের প্রতিপক্ষদের নিবৃত্ত করতে এবং আমেরিকার জনগণ, আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সুরক্ষায় আরও পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজন হবে।”
রাশিয়ার সঙ্গে ২০১০ সালে সম্পাদিত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫০টি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে। যদিও যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে গত বছর এই চুক্তি থেকে রাশিয়া নিজেদের সরিয়ে নেয়। মস্কোর এই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন।
এক বছর আগে এই সংগঠনটির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছিলেন, রাশিয়া ও চীনের অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মোতায়েন বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। তখন তিনি দেশ দুটিকে ‘কোনও ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই’ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন।
আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে বাইডেন প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে বলে জানান প্রণয় ভাদ্দি। তবে তিনি অভিযোগ করেন, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া দ্রুততার সঙ্গে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে এবং বৈচিত্র্যময় করছে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে দেশগুলোর তেমন আগ্রহ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের এই কর্মকর্তার দাবি, “এই তিন দেশ এবং ইরান এমনভাবে পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়াচ্ছে, যা শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিরোধী। এটি যুক্তরাষ্ট্র, আমাদের মিত্র ও অংশীদারতে হুমকিতে ফেলছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।” সূত্র: রয়টার্স