লঙ্কানদের ১২৪ রানে আটকালো টাইগাররা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুন ২০২৪, ৯:০৭:৫৭ অপরাহ্ন
অনুপম স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর এক সপ্তাহ পর খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। রিশাদ হোসেন, চোট থেকে ফেরা তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন লঙ্কান ব্যাটারা। শেষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বল্পতেই থেমেছে লঙ্কানরা। বোলাররা নিজেদের কাজ করেছে এখন পালা ব্যাটারদের।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শনিবার (৮ জুন) টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের পক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৩টি উইকেট গিয়েছে রিশাদের ঝুলিতে। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে।
শনিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ছয়টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টেক্সাসের গ্রান্ড প্রেইরিতে অবশ্য প্রথমে বোলিং নিয়ে ঠিক বলার মতো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ প্রথম পাওয়ার প্লেতে ঠিকই উইকেটের দেখা পেয়েছে। নিজেদের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দিয়েছেন তাসকিন ও মোস্তাফিজ।
ম্যাচের শুরুর দুই ওভার দেখেশুনেই শুরু করে লঙ্কান দুই ওপেনার। তবে তাসকিনের করা তৃতীয় ওভারে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন কুশাল মেন্ডিস। প্রথম দুই বলেই চার মেরে তাসকিনকে স্বাগত জানান তিনি। তবে ম্যাচের তৃতীয় বলেই শান্তর দলকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। বোল্ড করে ফেরান কুশালকে।
কুশাল ৮ বলে ১০ রান করে ফিরলেও আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা হাত খুলে খেলতে থাকেন। সাকিব আল হাসানের করা ম্যাচের পঞ্চম ওভারে তিনি মারেন চারটি চার।
এরপর পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই আঘাত হানেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারণ কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান ৪ রানে।
তবে পাওয়ার প্লের ঝড়ের পর লঙ্কানদের রান তোলার গতিতে তুলনামূলক লাগাম টেনে ধরতে পারে টাইগাররা। মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে ৪৭ রানে নিশাঙ্কা ফেরার পরেই মোটামুটি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নেয় টাইগাররা।
রানের গতি কমে যাওয়ায় চাপে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। রানের গতি বাড়ানোর আশায় রিশাদের ওপর চড়াও হতে চেষ্টা করেন চারিথ আসালাঙ্কা। তবে তাকে সাকিবের ক্যাচ বানান রিশাদ। পরের বলেই স্লিপে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও।
১০০ রানে ৫ উইকেট হারানো লঙ্কানদের চাপ আরও বাড়ে দলীয় ১০৯ রানে রিশাদের তৃতীয় শিকার হিসেবে ধনঞ্জয় ডি সিলভা ফেরার পর। পরে আর কোন ব্যাটারকেই দাড়াতে দেননি বাংলাদেশর পেসাররা।
শানাকাকে বাউন্স দিয়ে আউট করেন তাসকিন। পরের ওভারেই নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। শেষ ওভারে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করে ভালো সমাপ্তির আশায় থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে হতাশ করেন তানজিম সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৪ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।