দুই শিক্ষকের সম্মানে কমলগঞ্জ সমিতি ইউকের সম্বর্ধনা ও মতবিনিময়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২৪, ৯:২৬:১৬ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে সফররত কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীন শিক্ষক আব্দুল করিম (মনির মাষ্টার) ও শিক্ষক আকমল খানের সম্মানে কমলগঞ্জ সমিতি ইউকের উদ্যোগে ৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৭টায় পূর্ব লণ্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের কেমব্রিজ হিথ রোডের রেস্তোঁরায় এক সম্বর্ধনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কে আই রাসেল ও খলিলুর রহমান রুকনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কে এম আবুতাহের চৌধুরী ও প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক সিভিক মেয়র সেলিম উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী মনির খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, সাবেক ডেপুটি মেয়র শহীদ আলী, লেখক শাহীন রশীদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, আহমদ ফখর কামাল, মইনুল হক খান, ডা. মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ব্যাংকার সৈয়দ সুহেল আহমদ, আঙ্গুর আলী, নেতা এম এ সালাম প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফখর উদ্দিন, মাহমুদ হোসেন তুহিন, ইন্জিনিয়ার আবু বকর সিদ্দিক তুহীন, মিসেস জেসমিন ফেরদৌসি, সুহেল আহমদ, বাবু রতন কর, শওকত খান, আঙ্গুর আলী, আলাউর রহমান খান শাহীন, আব্দুল মোতালিব লিটন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা সংবর্ধিত দুইজন গুণী শিক্ষকদের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুল ধরে তাদের ভুয়শী প্রশংসা করেন।
সংবর্ধিত অতিথি শিক্ষক মনির মাষ্টার বলেন বিলেত এসে তাঁর ভুল ধারণার অবসান হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামাজিকতা, ভদ্রতা,আন্তরিকতা ও ভালবাসা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।
শিক্ষক আকমল খান সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশ প্রেম ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে শমসেরনগর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিল্পী মনির খান বলেন, একজন শিক্ষকের কোন মৃত্যু নেই। তারা মানুষ গড়ার কারিগর। কর্মের মাধ্যমেই তারা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সাবেক মেয়র সেলিম উল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন আমাদের সন্তানদের বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতির সাথে পরিচয় করে দিতে হবে।
প্রধান অতিথি কে এম আবুতাহের চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে কমলগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ১৯৭৮ সালে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুল নুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন ও সিলেটের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
সভাপতি অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন চৌধুরী তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও সংবর্ধিত দুইজন শিক্ষকের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।