ইরানের মতো বিশ্বের আর কোনো দেশ শরণার্থীদের এত বেশি সেবা দেয় না : জাতিসংঘ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মে ২০২৪, ১১:৪৬:৫০ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে বিপুল সংখ্যক বিদেশি শরণার্থী অবস্থান করা সত্ত্বেও এসব শরণার্থীর কল্যাণে ইরান কর্তৃপক্ষ যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। একথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার চিফ অব স্টাফ ললিনী ভিরাস্বামী।
তিনি ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফার্স প্রদেশের বিদেশি নাগরিক ও শরণার্থী বিষয়ক মহাপরিচালক বেহরাঙ্গ কোরবানির সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন। ভিরাস্বামী বলেন, ইরানে আশ্রয় গ্রহণকারী বিদেশি শরণার্থীদের কল্যাণে গৃহিত পদক্ষেপ বিশ্বে নজিরবিহীন এবং বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ইরান বিদেশি শরণার্থীদের কল্যাণে যেসব ব্যবস্থা নেয় তা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বহু বৈঠকে ইরানের প্রশংসা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে ইরানের ফার্স প্রদেশের বিদেশি নাগরিক ও শরণার্থী বিষয়ক মহাপরিচালক বেহরাঙ্গ কোরবানি বলেন, একজন ইরানি নাগরিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য যেসব সুবিধা ভোগ করে থাকেন, ইরানে অবস্থানকারী একজন বিদেশি শরাণার্থীও একই সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার দিক দিয়ে বিদেশি শরণার্থীরা কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হন না।
ইরানের ফার্স প্রদেশের এই কর্মকর্তা তার দেশে অবস্থানরত বিদেশি শরণার্থীদেরকে স্বেচ্ছায় তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সহযোগিতা করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
আফগানিস্তান ও ইরাকসহ পশ্চিম এশিয়ার বেশ কিছু দেশে যুদ্ধ, দখলদারিত্ব ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিগত চার দশক ধরে প্রতিবেশী দেশগুলোর লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে ইরান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও ইরান এক লাখের বেশি ইউরোপীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল যাদের মধ্যে শুধুমাত্র পোল্যান্ডের শরণার্থী ছিল ৭৪ হাজার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকেও প্রচুর শরণার্থী ইরানে প্রবেশ করেছে। সার্বিকভাবে ইরানের ইতিহাসে এদেশে বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে।