যুক্তরাজ্যের সম্মানসূচক খেতাব পেলেন শাহানুর খান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ৫:৫৪:১৭ অপরাহ্ন
শাহানুর খাঁনের হাতে সম্মাননাটি তুলে দিচ্ছেন ক্লার্ক টু দি চ্যাম্বারলেইন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম খেতাব ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সমাজসেবক শাহনূর খান।
লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী গিল্ড হলে মঙ্গলবার শাহানুর খাঁনের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্য ও ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেক নামকরা মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি অব লন্ডন করপোরেশন মূলত ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ খেতাব দিয়ে আসছে ১২৩৭ সাল থেকে। এই সম্মাননা ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত শুধু ব্রিটিশ ও কমনওয়েলথ নাগরিকদের জন্য ছিল।
Read more ⤵️
Shahanoor Khan awarded the ‘Freedom of the City of London’
১৯৯৬ সালের পর এটি সকলে পাওয়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ, রানিমাতা কুইন এলিজাবেথ, কিং চার্লস, প্রিন্সেস ডায়না, উইনস্টন চার্চিল, ক্লিমেন্ট অ্যাটলি, মার্গারেট থ্যাচার, ফুটবলার হ্যারি কেইন, নেলসন ম্যান্ডেলা, স্টিফেন হকিংসসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব লন্ডন’ সম্মাননায় ভূষিত হন।
সম্মাননা পাওয়ার পর শাহানুর খান বলেন, এই সম্মান কমিউনিটির জন্য উৎসর্গ করলাম। ব্রিটেনের প্রাচীনতম এই সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। আমি কমিউনিটি উন্নয়নে যে কাজ করে গিয়েছি সেটা অব্যাহত রাখবো।
সম্মাননা লাভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শাহগীর বখত ফারুক, বশির আহমেদ,আব্দুল আহাদ চৌধুরী, আহবাব হোসেন,দেলোয়ার হোসেন,তফজ্জুল মিয়া,আনোয়ার আলী, আমিনুল হক জিল্লু, নজরুল ইসলাম খান, এম এ মজনু, তারাউল ইসলাম, আহসান আহমেদ, সহিদুর রহমান, হাফছা ইসলাম,সহ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস খান, ছেলে নাওয়াজ খান, নিবরাজ খান, পূত্রবধু নাঈমা খান। তাছাড়া অনুষ্ঠানে মিডিয়ার লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের সাথে শাহনুর খান
অনুষ্ঠানে শাহানুর খান তাঁর বক্তব্যে বলেন এই অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা অবশ্যই গর্বিত। পাশাপাশি বাঙালি হিসেবে এটি সবার জন্য গৌরবের। তিনি জানান, তাঁর অবস্থান থেকে তিনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন।’ শাহনূর খান কমিউনিটির নানা সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজেও নিয়োজিত আছেন।
পরে শাহানুর খানের সৌজন্যে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয় গ্রান্ড রসই রেষ্টুরেন্টে।