‘১৪ ও ১৮ সালে ভোট ডাকাতি করেছি’ আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:১০:২৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেব সিআইপির নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ১ নম্বর বড়হাতিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রুনা এ মন্তব্য করেন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি এ কথা বলেন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ডা. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বিজয়ী হন। এবারও তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন পেয়েছেন। আগের দুই সংসদ নির্বাচনে রিটন বড়ুয়া নেজামউদ্দিন নদভীর পক্ষে কাজ করেন। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের পক্ষে কাজ করছেন। আবদুল মোতালেব বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন। নির্বাচনে তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন।
বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রোববার দিবাগত সন্ধার দিকে বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দিরপাড়ায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমাদের এমপির কথা বলছি। আপনাকে আমি একটি কথা বলতে চাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। সোজা কথা। আমরা এমনে আসি নাই। ২০১৮ সালেও আমরা ভোট ডাকাতি করেছি। এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বারবার বলেন। আমাদের বহির্বিশ্ব চাপ দিচ্ছে। আমাদের একজনের পায়ে একজন না লেগে সোজা লাইন ধরে ভোট দিতে হবে। এটা বহির্বিশ্বকে দেখাতে হবে।’
রিটন বড়ুয়ার বক্তব্য প্রদানকালে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের ছেলে ওয়াহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মো. রিয়াদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ অনেকে।
মো. রিয়াদ বলেন, তিনি (রিটন বড়ুয়া) গত দুই নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্যের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। বর্তমানে এমপি বিপক্ষে বলতে গিয়ে ক্ষোভ থেকে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। রিটন বড়ুয়া রুনার নাম্বারে বার বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের লোহাগাড়ার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের লোকজন ভোট ডাকাতি করতে আসলে আমাদের দলের লোকজন তা প্রতিহত করে। এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন রুনা। অথচ এখন তার বক্তব্য এডিট করে উল্টোভাবে প্রচার করছে অনেকে।