ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানের জেনারেলের মৃত্যু, প্রতিশোধ নেবে ইরান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:০৭:২৯ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের বিমান হামলায় সিরিয়ায় ইরানের এক শীর্ষ জেনারেল প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদ রাজি মুসাভি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের অদূরে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইসরাইলের বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।
আইআরজিসির এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে সাইদ রাজি সুপরিচিত ছিলেন। কুদস ফোর্স মূলত ইরানের বিদেশ, বিশেষ করে আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।
২০২০ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সোলাইমানি নিহত হন। অন্যদিকে সিরিয়ায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে কাজ করতেন সাইদ রাজি। তিনি সিরিয়া ও ইরানের মধ্যকার সামরিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করতেন। লেবাননের হিজবুল্লাহের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা সাইদ রাজি নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে। ইরনা বলেছে, দামেস্কের উপকণ্ঠের জেইনাবিয়া জেলায় ইহুদিবাদী শাসকদের হামলায় মুসাভি নিহত হয়েছেন।
সাইদ রাজি নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান ও রাশিয়া। সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত সেনাদের অবস্থান নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে সেখানে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
প্রতিশোধ নেবে ইরান
ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজি) শীর্ষ রাজি মুসাভি উপদেষ্টা নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, “সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আইআরজিসির সামরিক উপদেষ্টাকে হত্যা করার জঘন্য কাজটি দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের হতাশার আরেকটি লক্ষণ। এ জন্য অবশ্যই তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হবে।”
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, “তেল আবিব এখন কঠিন কাউন্টডাউনের মুখোমুখি।”
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, “ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজি মুসাভি অনেক বছর ধরে সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছেন ইরান ও এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।”
মুসাভি ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে সামরিক জোটের সমন্বয়ের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীসহ এই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য তেহরানের প্রচেষ্টায় ব্যাপকভাবে জড়িত বলে মনে করা হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রেস টিভি অনুসারে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা এই হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘প্রকাশ্য এবং নির্লজ্জ লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে, যা সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে’।