সৌদি আরবে পুতিন, যে কারণে ‘পরীক্ষিত মিত্র’র দেশে এলেন (ভিডিও)
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪১:৪৯ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিমানবন্দরে সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পুতিনকে অভ্যর্থনা জানান। তারা রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে রাজপ্রাসাদের দিকে যান।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ সৌদি আরবের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে পুতিনের।
সৌদি আরব আগামী মাসে ব্রিকসের সদস্য হতে চলেছে।
এর আগে পুতিন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাদশা শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করেন। আমিরাত পুতিনের জমকালো অভ্যর্থনা দেয়।
ক্রেমলিনের জানিয়েছে, আবুধাবিতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির বিবেচনায় আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় পক্ষের অংশ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ মাধ্যম তাস জানায়, সৌদি সফরে দেশটির যুবরাজ সালমানের সঙ্গে তেলের দাম, ইউক্রেন সংঘাত এবং গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই নেতা এবং তাদের সহযোগীরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
রাশিয়া ও সৌদি আরব ওপেক প্লাস এর সদস্য, যারা গত সপ্তাহে তেলের দাম বাড়াতে উৎপাদন আরও কমাতে রাজি হয়েছে। রিয়াদকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা (ব্রিকস) এর বাণিজ্যসংস্থায় যোগদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
পুতিনের মধ্যপ্রাচ্য সফরকে বৈশ্বিক মঞ্চে তাকে বিচ্ছিন্ন করার মার্কিন ও ইউরোপীয় প্রচেষ্টাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সঙ্গে তুলনা করেছে ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রুশ অর্থনীতির যে উত্থান, তার পেছনে অন্যতম কারণ রাশিয়ার তেল বাণিজ্য। পশ্চিমা অবরোধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সহায় হয়ে মস্কোর পাশে এসে দাঁড়ায় ভারত ও চীন। পশ্চিমা অবরোধ সত্ত্বেও বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে পেয়ে ট্যাংকারের পর ট্যাংকার রুশ তেল কেনা শুরু করে দেশ দুটি। আর তাতেই ফুলে-ফেঁপে উঠে রাশিয়ার অর্থনীতি।
আর রাজনৈতিকভাবে পুতিনকে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে এক হাত নেওয়ার সুযোগ করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র সৌদি আরব। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের সম্মতি আদায়ে কাজ করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাইডেনের সেই বাড়া ভাতে ছাই দেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।