মালয়েশিয়ায় শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১০:০৬ অপরাহ্ন
শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান। ছবি: সংগৃহীত।
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ায় শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল উৎসাহ- উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ জানিয়েছেন, রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানী কুয়ালালামপুরে চ্যালেঞ্জার স্পোর্টস সেন্টারে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি দল বিডি এফসি ক্লাবের বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যের আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাইকমিশন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির ১২ টি দলের অংশগ্রহণে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
খেলা শেষে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিনিউটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা – কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা এবং নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট সকল শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ। ১০ বছর বয়সেই তার নেতৃত্বগুণ, সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রকাশ আমরা দেখতে পাই। শেখ রাসেলের বেড়ে ওঠা ও মানবিক গুনাবলী সমূহ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।