শিক্ষকদের আন্দোলন: আমরণ অনশনের হুমকি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২৩, ৭:১৯:২১ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি আদায়ে টানা ১০ দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের একদফা দাবিতে তাদের এ আন্দোলন। সারা দেশ থেকে আসা শত শত শিক্ষক অনেকটা মানবেতরভাবে এখানে রাতদিন অবস্থান করছেন। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগররা দাবি আদায়ের জন্য রাজপথকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাদের অনেকের আশা ছিল-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। তাদের কষ্টের কথা শুনবেন, বুঝবেন। অথচ কেউই তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। বরং সরকারের তরফ থেকে অনেকটা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যয় বাড়িয়ে এ রকম অযৌক্তিক দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা এমন কথা শুনতে নারাজ। তাদেরও সাফ কথা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে সরকার পদে পদে অন্যায় ও বৈষম্য করে আসছে। এবার তারাও দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরে যাবেন না। শিক্ষামন্ত্রীর ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই। এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। সাক্ষাৎ না পেলে এবং সুষ্ঠু সমাধান না হলে তারা আমরণ অনশনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বৃহস্পতিবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, গত ১১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি চলছে ১৬ জুলাই থেকে। আন্দোলনের সপ্তম ও নবম দিনে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার ডাক পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে তারা দাবিপূরণে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বললেই তাদের দাবি আদায় হয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি দাবি আদায়ে ইতিবাচক কিছু হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের হতাশ করা হয় তাহলে আমরণ অনশনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’




