সিলেট—২ আসনে নৌকার কান্ডারি হতে চান ড. অরূপ রতন চৌধুরী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০২৩, ৪:৪৩:১৬ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও লেখক অরূপ রতন চৌধুরী। গত শনিবার দুপুর ১২টায় নগরের মীরবক্সটুলা এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী অরূপ রতন চৌধুরী জানান, তাঁর বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার আকিলপুর গ্রামে। এ সংসদীয় আসনের মানুষের সুখে-দুঃখে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাশে রয়েছেন। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি দেশের যুবসমাজকে নিয়ে কাজ করছেন। মাদকবিরোধী নানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে প্রার্থী হতে চান।
অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘আমার শিকড় সিলেটে। এখন চাওয়া একটাই, নিজের শেষ সময়টুকু সিলেটের মাটি ও মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চাই। সিলেটের সর্বাপেক্ষা উপেক্ষিত ও অবহেলিত হিসেবে সিলেট-২ আসনকে গণ্য করা হয়। যোগ্য ও দক্ষ জনপ্রতিনিধিদের অভাবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সিলেট-২ আসনের বাসিন্দারা পাচ্ছেন না। এ আসনের সংসদ সদস্যকে এলাকার মানুষ পাশে পান না। এর আগেও এ আসন ছিল একই অবস্থায়। আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য থাকলেও এলাকার জনগণ ছিলেন উন্নয়নবঞ্চিত। ধারাবাহিক উন্নয়ন বঞ্চনার কারণে পাহাড়সম সমস্যায় রয়েছে এ আসন।’
মতবিনিময়কালে চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরীর সঙ্গে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল মুনীর, চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরীর স্ত্রী গৌরী চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কর্মগুণে এখন বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁর অর্জন ধরে রাখতে হলে মনেপ্রাণে দেশবান্ধব শক্তির প্রয়োজন। সুতরাং আমার বিশ্বাস, দলীয় প্রধান বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে অবহেলিত মানুষের পক্ষে কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।’
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (একাদশ) সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত হন গণফোরামের মনোনয়নে নির্বাচন করা মোকাব্বির খান। এ আসনে গত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান ইয়াহইয়া চৌধুরী।
একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজের ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টালসার্জারির প্রফেসর, বারডেম হাসপাতালের ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারির সাম্মানিক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী, উপস্থাপক।
১৯৫২ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরী, পিতা সিলেটের কৃতিসন্তান শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী, বড়ভাই অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, বোন অধ্যাপক ড. মধুশ্রী ভদ্র। স্ত্রী একজন সুগৃহিনী গৌরী চৌধুরী, দুই পুত্র অনির্বাণ চৌধুরী ও সপ্তক চৌধুরী। ড. চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন কণ্ঠশিল্পী/শব্দ সৈনিক। ১৯৭৬ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বি.ডি.এস, ১৯৮২-৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশিপ এবং ১৯৯২-৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক এট স্ট্রনিব্রোক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি পিএইচডি। ২০১২ সালে তিনি ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস থেকে ঋউঝজঈঝ (ফেলোশিপ ইন ডেন্টাল সার্জারি রয়েল কলেজ অব সার্জনস) ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ ৪৬ বছর এদেশের মুখ ও দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু প্রকাশনা ও গবেষণা কাজ করেছেন এবং মুখের চিকিৎসার বিভিন্ন আধুনিক তথ্য বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছেন ও রোগ প্রতিরোধের উপর বেতার, টেলিভিশনে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও উপস্থাপনার মাধ্যমে জনগণের কাছে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
ড. চৌধুরী ১৯৮৯ সালে মাদক ও ধূমপানবিরোধী সংগঠন ‘মানস’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ সংগঠনের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে বিগত ৩৩ বছর ধরে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অধ্যাপক চৌধুরী বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির একজন উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের একজন সদস্য। ১৯৮০ সাল থেকে বেতার ও টেলিভিশনে একজন সফল স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপক। সঙ্গীত জগতে ৬০ বছর ধরে জড়িত এবং বর্তমানে বেতার, টেলিভিশনে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী এবং নিয়মিতভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। ইতিমধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ৪টি অডিও সিডি ও দুইটি ভিডিও সিডি প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে ইউটিউবে তার গান, মিউজিক ভিডিও, বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও তার পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রচারিত হচ্ছে।
ড. অরূপ রতন চৌধুরীর নির্মিত স্বল্প দৈর্ঘ্য ছায়াছবি: ডায়াবেটিস রোগসংক্রান্ত স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শৃঙ্খলাই জীবন’ এবং ‘শিশুদের ডায়াবেটিস’ (টিভিতে নিয়মিত প্রচারিত স্বাস্থ্যমূলক অনুষ্ঠান), তামাক, ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশে নির্মিত ‘নেশা সর্বনাশা’ বাংলাদেশে টেলিভিশনে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে।
ড. অরূপ রতন চৌধুরীর নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ২০১৫ সালে মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ড. অরূপ রতন ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ‘স্বর্গ থেকে নরক’ ছায়াছবিটি ভারতের কলকাতায় ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত চলচ্চিত্র সংস্থা ‘টেলিসিন সোসাইটি’ কর্তৃক বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করে। ২০০৩ সালে মাদকাসক্তির উপর নির্মিত তার তথ্যচিত্র ‘নেশা সর্বনাশা’ বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ‘অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক-২০০০’, বাচসাস কর্তৃক ‘লাইফটাইম এ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০০৪, ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০০৬’ স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনের জন্য ‘টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব) অ্যাওয়ার্ড-২০০৬’।
ড. অরূপ রতন চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রবন্ধ লিখছেন। তিনি ইতিমধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ডেন্টাল ও ডায়াবেটিস, মাদক ও ধূমপান সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।
ইতোমধ্যে ২৮টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। যেমন: ১) মুখ ও দাঁতের ৬০টি সমস্যা ও সমাধান, চয়ন প্রকাশনী (২০১৫), ২) মুখের ক্যান্সার, আগামী প্রকাশনী (২০১৩), ৩) ডায়াবেটিস এবং মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য, ৪) মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য (অ ঃড় ত) চারুলিপি প্রকাশনী (২০১২), ৫) সুন্দর দাঁতে সুন্দর হাসি, ৬) মাদকাসক্তি ও এইডস্, ৭) মাদক ও মাদকাসক্তি, ৮) দাঁত ও মুখের রোগের সাথে দেহের রোগের সম্পর্ক, আগামী প্রকাশনী (২০০৯), ৯) মুখ ও দাঁতের রোগ: প্রতিকার-প্রতিরোধ, ১০) মুখের স্বাস্থ্য ও তামাক পাতা, শিখা প্রকাশনী (২০০১), ১১) তামাক পাতা ও ধূমপান (২০০৯), ১২) মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য, রূপ প্রকাশনী (১৯৯৫), ১৩) আর ধূমপান নয়, মানস (২০০০), ১৪) মরণ নেশা ইয়াবা ও ফেনসিডিল, আগামী প্রকাশনী (২০১৫), ১৫) ধূমপান থেকে মাদকাসক্তি, গ্রন্থ নিকেতন (২০১৫), ১৬) তামাক, মাদক ও নারী বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট, আগামী প্রকাশনী (২০১৭), ১৭) মাদক পাচার ও মাদকাসক্তি : বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, বাসিয়া প্রকাশনী (২০১৮), ১৮) দাঁতের যত্ন, আগামী প্রকাশনী (২০১৯), ১৯) মাদকাসক্তি একটি রোগ-প্রতিকার প্রতিরোধ, আগামী প্রকাশনী (২০১৬), ২০) মুখই স্বাস্থ্যের প্রবেশ পথ, ২১) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, ২২) হেলথ গাইড-মুখ ও দাঁতের রোগ, ২৩) মুখের যত্ন, ২৪) মাদকাসক্তির ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিরোধ, হেলপলাইন ফাউন্ডেশন (২০১৯), ২৫) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, আগামী প্রকাশনী (২০২২), ২৬) দেহের স্বাস্থ্য রক্ষায় মুখের যত্ন, চয়ন প্রকাশন (২০২২), ২৭) মুক্তিযুদ্ধের শব্দ সৈনিক, বাসিয়া প্রকাশনী (২০২২), ২৮) করোনাভাইরাসের সঙ্গে মাদক ও তামাকের সম্পর্ক, আগামী প্রকাশনী (২০২২), মুখ ও দাঁতের রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ, ধূমপান ও তামাকের ক্ষয়ক্ষতি এবং মাদক ও মাদকাসক্তির উপর তার রচিত এইসব গ্রন্থ বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিগুলোতে ইতিমধ্যে স্থান পেয়েছে।
১৯৭৬ সাল থেকে ড. চৌধুরী বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক কলাম লিখছেন। বর্তমানে অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ও ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারি বিভাগের সাম্মানিক সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশায় চিকিৎসক হিসেবে নিয়মিত রোগীদের সেবা প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ড যেমন: ধূমপান মাদকবিরোধী আন্দোলনে নিজেকে যেমন সক্রিয় রেখেছেন তেমনি বেতার টেলিভিশনে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপস্থাপনা, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির কাজেও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। তিনি মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালের ২৬ জুন “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস” উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে সম্মাননা প্রদান করে এবং তামাকবিরোধী কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার জন্য ২০১৬ সালের “৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস” উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে ধূমপান ও মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুরস্কারও লাভ করেন। ২০২১ সালে চিকিৎসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য ভারতের মাদার তেরেসা ইন্টারন্যশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক মাদার তেরেসা ইন্টারন্যশনাল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৫ সালে অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয় সম্মান, জাতীয় পুরস্কার ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।



