মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে রাজকীয় তদন্ত কমিশনের দাবি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মে ২০২৩, ১২:৩২:৪৪ অপরাহ্ন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার ৫৮ টি ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থার শ্রম আইন সংস্কার জোট (এল এল আর সি) বলেছে, বিদেশী কর্মী নিয়োগ এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির যোগসূত্র নিয়ে মালয়েশিয়ান দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত খুবই উদ্বেগজনক।
সংস্থাটি রবিবার কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে অভিবাসী কর্মী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দুর্নীতি তদন্তের জন্য একটি রাজকীয় তদন্ত কমিশন (আরসিআই) গঠন করতে সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছে।
এলএলআরসি-এর সহ-চেয়ারম্যান আইরিন জেভিয়ার বিদেশি কর্মী ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রের দুর্নীতিকে “আতঙ্কজনক” বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে পুরো সিস্টেমটি ( এফডব্লিউসিএমএস) খতিয়ে দেখার জন্য আরসিআই প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “ব্যবস্থাপনার দুর্নীতি মোকাবেলায় আমাদের একটি সামগ্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেউ অভিবাসী শ্রমিকদের পণ্য হিসাবে বিবেচনা করে এ থেকে শুধু লাভবান হওয়া উচিত নয় ” তিনি শ্রম দিবস পালনের আগে শ্রমিকদের স্বার্থে এসব বলছিলেন।
এদিকে, নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেছেন, বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। যদিও সরকার গত কয়েক বছর ধরে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের প্রক্রিয়া উন্নত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু একই রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে।” তিনি উদাহরন দিয়ে বলেন, “আমরা দেখতে পাই শত শত অভিবাসী শ্রমিককে চাকরির নিশ্চয়তা ছাড়াই আনা হচ্ছে। “এটা জঘন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, কোন কর্মকর্তা বা মন্ত্রণালয় এই শ্রমিকদের জন্য ভিসা অনুমোদন করেছে চাকরি বরাদ্দ ছাড়াই? ” মিস্টার পেরেইরা এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে নেগেরি সেম্বিলানের বন্ডার বারু নিলাইতে খারাপ পরিস্থিতিতে বসবাসকারী ২২৬ বিদেশী শ্রমিককে শ্রম দপ্তর কর্তৃক উদ্ধার করার কথাও বলছিলেন।
বিদেশি কর্মী রিক্রুটমেন্ট, এম্পলয়মেন্ট এবং রেপাট্রিয়েশন বিষয়ে পাকাতান হারাপান-নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে ২০১৮ সালে গঠিত বিশেষ কমিটির প্রতিবেদনটি জনসমুখ্যে প্রকাশ করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “ আমাদের সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। নইলে বছরের পর বছর সমস্যা রয়ে যাবে”।
এল এল আর সি এর অন্যান্য দাবিগুলোর হলো সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতন ১৫০০ রিঙ্গিত নিশ্চিত করা, ২৫% বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকার সে দেশের কর্মীদের ন্যায় অভিবাসী কর্মীদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের সদস্য করেছে যা কর্মী ও কর্মীর পরিবারের আজীবন কল্যাণ নিশ্চিত করেছে।