শীত আসছে, তেল মাখা কেন জরুরি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ৯:১২:০৬ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: তেল মাখা কেন জরুরি, তা বুঝতে গেলে জানতে হবে তেল কীভাবে কাজ করে। তেল মাখলেই তা লোমকূপের মধ্যে প্রবেশ করে ত্বকে পুষ্টি জোগায়। আর ত্বকের বাইরে একটা বর্ম তৈরি করে। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, বাইরের আবহাওয়াও তেলের এই বর্ম ভেদ করে ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে চামড়ায় ফাটল ধরে না, টানও পড়ে না। তাই বলিরেখাও পড়ে না। তেলের ভাগও আছে। ভেজিটেবল অয়েল (অলিভ, আমন্ড ইত্যাদি) ও এসেনশিয়াল অয়েল (পাচৌলি, স্যান্ডলউড ইত্যাদি সুগন্ধি তেল)… দুই ধরনের তেলেরই কিন্তু অনেক উপকারিতা। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দুই ধরনের তেলই রাখতে হবে রূপচর্চায়। ঠিক যেমন সব অসুখের ওষুধ এক নয়, তেমনই ত্বকচর্চায় প্রত্যেকটি তেলের ভূমিকা ও কার্যকারিতা আলাদা।
ভিন্ন ত্বকে ভিন্ন তেল
তৈলাক্ত ত্বকে বেশি তেল মাখবেন না। সে ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেলের সাথে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিলেই উপকার পাবেন। মুখে মাখার জন্য টি ট্রি অয়েল ও হোহোবা অয়েল খুব কাজে দেয়। স্পর্শকাতর ত্বকেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু রুক্ষ ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল মাখতে পারেন মুখে।
শীত যতই ঘনিয়ে আসছে, ত্বকও তত শুষ্ক হতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা খুবই জরুরি। গোসলের পরে, কখনও কখনও এমনকি ময়েশ্চারাইজারও ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা দিতে সক্ষম হয় না। সেক্ষেত্রে বাড়িতে রাখা কয়েকটি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে নরম ও চকচকে করে। গোসলের পর যেসব তেল লাগানো উপকারী-
বাদাম তেল
সব ধরনের ত্বকেই বাদামের তেল লাগানো যায়। গোসলের পর এই তেল শরীরে লাগালে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষ্মতা দূর হয়। চাইলে গোসলের সময় ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বাদাম তেলে বাদামি সুগার মিশিয়েও বডি স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। এছাড়া এই তেল এমনিও লাগানো যায়।
জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই তেল ফাটা ত্বক নিরাময় করে, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং কাপড় লাগালে ত্বকে যে চুলকানি অনুভূত হয় তাও চলে যায়। মেকআপ তুলতে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল সহজেই ত্বক দ্বারা শোষিত হয়, যার কারণে এটি শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি পেতে সেরা তেলগুলির মধ্যে একটি। এর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের সমস্যাও দূরে রাখে। তাই এই তেল শরীরে লাগাতে পারেন। তবে মুখে লাগানোর দরকার নেই, হাত, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, যদি ব্রণ এবং খুব তৈলাক্ত ত্বক থাকে তবে এই তেলটি এড়িয়ে চলুন।
সূর্যমুখী বীজের তেল
সূর্যমুখী বীজের তেল শরীরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো এবং ত্বকের যত্নের প্রসাধনী হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া সূর্যমুখীর বীজ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্যও ভালো।