মিষ্টির উপকার, অতিরিক্ত ক্ষতিকর, আর যারা মিষ্টি খাবেন না
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক : ভাল মানের মিষ্টি তৈরিতে দুধ/ছানা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই, ভাল মিষ্টি আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১০০ গ্রাম রসগোল্লা মিষ্টিতে প্রায় ১৮৬ ক্যালরি থাকে, যার প্রায় ১৫৩ ক্যালরিই আসে শর্করা হতে, যা তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি সরবরাহ করে।
মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে সেরিটোনিন নামের হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। ফলে, মিষ্টি খাবার খেলে আমাদের মধ্যে সুখ ও আনন্দ অনুভূত হয়।
এই অনুভূতি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। খাদ্য গ্রহণের পর সেই খাদ্য হজম করার জন্য আমাদের পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণ শুরু হয়। ঝাল বা তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়ে। অতিরিক্ত এসিড ক্ষরণের ফলে পরিপাক ক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, এমনকি পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অসুখ দেখা দিতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার এই অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এর ফলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে।
এছাড়া বেশি পরিমাণে তেলে ভাজা বা মিল খাওয়ার পর শরীরের রক্তচাপ অনেকাংশেই কমে যায়। এই অবস্থায় মিষ্টিজাতীয় খাবার রক্তচাপকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে শর্করা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং দুরুহ কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। ডার্ক চকোলেটের মতো বেশ কিছু ডেজার্টে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং কোকো, যা স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।
সকালে নাস্তায় মিষ্টি খেলে সারা দিন কম খাদ্য গ্রহণ ও শর্করা ক্রেভিং কমে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে মিষ্টি দারুণ ভূমিকা পালন করে।
♦ ♦ ♦
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস ও হৃদরোগীদের মিষ্টি পরিহার করা উচিত।
অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া কখনোই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমে যা ভবিষ্যতে নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
♦ ♦ ♦
তবে, রক্তচাপ কমে গেলে ও ডায়বেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক সময় কমে যায়, এই অবস্থায় পরিমিত পরিমাণে মিষ্টি খেতে পারবে।
শারীরিক পরিশ্রমী লোকদের জন্য শক্তির ভালো উৎস মিষ্টি।
বিশেষ করে স্বল্প আয়ের অধিক পরিশ্রমী পেশাজীবীদের চাহিদা পূরণে মিষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।