হাসপাতালের লিফটে ৪০ মিনিট আটকা ৭ জন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২২, ৩:৩২:৫৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হবিগঞ্জে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের লিফটে অন্তত ৪০ মিনিট আটকা থেকে উদ্ধার হয়েছেন রোগীসহ সাতজন। তাদের চিৎকারে হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
লিফটে আটকে পড়াদের অভিযোগ, তাদের উদ্ধারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎকে কল দেয় ফায়ার সার্ভিস, তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কল রিসিভ করেননি।
লিফটে থাকা একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সাংবাদিক মোহাম্মদ নূরউদ্দিন বলেন, ‘বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর লিফটের মধ্যে আমরা সাতজন আটকা পড়ি। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় জেনারেটরে জ্বালানি তেল নেই। উদ্ধার পেতে বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলে তারা কোনো রেসপন্স করেনি।
‘পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে কল দিয়ে রেসপন্স পাননি। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অন্তত ৪০ মিনিট পর আটকে থাকা সাতজন উদ্ধার হই।’
হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন, ‘জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়েই বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তবে তারা বরাবরের মতোই জরুরি ভিত্তিতে আমাদের ফোন রিসিভ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে সব সময় দেরিতে রেসপন্স করে। ফোন ধরতে চায় না। যে কারণে আমরা জরুরি মুহূর্তে সমস্যার মুখোমুখি হই।’
হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ অফিসকে ফোন দিয়েছি জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেনি। সরেজমিনে এসে আমাদের কথার সত্যতা যাচাই করতে একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়েছেন। বিদ্যুৎ অফিস চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো দুর্ঘটনা হলে তার দায়দায়িত্ব কার হতো?’
হাসপাতালের জেনারেটরে তেল নেই কেন এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. মুমিনুল ইসলাম জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাবার কারণে জেনারেটরের তেল শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া জেনারেটর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায়, এতে জ্বালানি বেশি লাগে।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস যে অভিযোগ করছে, সেটা সঠিক হওয়ার কথা না। আমার কর্মকর্তাদের বলে রাখা হয়েছে সব সময় যেন তারা কল রিসিভ করেন। এ ছাড়া গতকাল হাসপাতালের লিফটের ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি।’