যুক্তরাষ্ট্র সস্তায় সমরাস্ত্র দিতে চায় বাংলাদেশকে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ৪:৪১:৪৬ অপরাহ্ন

নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, … এ প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এ মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ- এটা প্রমাণিত হয়েছে।
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের কাছে সুলভ মূল্যে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রয়োজনে এ জন্য ঋণ সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছে বিশ্ব সমরাস্ত্র বাজারের শীর্ষতম দেশটি। জবাবে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও আলোচনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময় গত বুধবার মধ্যরাতে (ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বনি জেনকিন্স।
সচিব পর্যায়ের প্রায় সাত ঘণ্টার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরাসরিই সুলভ মূল্যে বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়; একই সঙ্গে ঋণ সহায়তারও। বৈঠকের প্রথম দুই ঘণ্টা এ বিষয়েই আলোচনা চলে। বাংলাদেশ ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও প্রস্তাবটি এখনও আলোচনার পর্যায়েই থেকে গেছে।
আলোচনার প্রয়োজন সম্পর্কে বৈঠক-সংশ্নিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত ‘ফোর্সেস গোল’ অনুযায়ী সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত সমরাস্ত্র সংগ্রহে বিভিন্ন উৎসের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমরাস্ত্র কিনতে হলে দুটি বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি আকসা (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং জিসোমিয়া (জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমরাস্ত্র কেনার পূর্বশর্ত হচ্ছে জিসোমিয়া স্বাক্ষর করা। এর আগে গত মাসে ঢাকায় অংশীদারিত্ব সংলাপে জিসোমিয়ার খসড়া হালনাগাদ করা হয়েছে। বুধবার রাতের নিরাপত্তা সংলাপেও জিসোমিয়ার সবশেষ খসড়া নিয়ে কথাবার্তা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ চুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত চূড়ান্ত করার তাগিদ দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ঢাকায় আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায়।
সূত্র জানায়, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশের সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজসহ নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইপিএসে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত উপাদান রয়েছে। বাংলাদেশ এই উদ্যোগের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যুক্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র খুশি হবে। এর জবাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরও আগে থেকেই বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশ আইপিএসের অর্থনৈতিক উপাদানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
নিরাপত্তা বিশ্নেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সুলভ মূল্যে সমরাস্ত্র বিক্রির এই প্রস্তাবটির দুটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক আছে। প্রথমত, এ প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এ মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ- এটা প্রমাণিত হয়েছে। সূত্র : সমকাল




