মসজিদের দানবাক্সে মিললো ১৫ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২২, ৭:২৪:২৮ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দান বাক্স খোলা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর দান বাক্সগুলো খোলা হয়। করোনার কারণে এবারও ৪ মাস ৬ দিন পর দান বাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আটটি দান বাক্স থেকে এবার ১৫ বস্তা টাকা সহ পাওয়া গেছে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
জানা গেছে, শনিবার ১২ মার্চ সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে আটটি দান বাক্স খোলা হয়েছে। দান বাক্সগুলো খুলে ১৫টি বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। মাদ্রাসার দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও রুপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা কঠোর নিরাপত্তায় টাকা গণনায় অংশ নেন।
এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর দান দান বাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৪ মাস ৬ দিন পর দান বাক্সগুলো খোলা হলো।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এই মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়, এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন।
সূত্র মতে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে উঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।