বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে, আজকের বাংলাদেশ ভিক্ষায় চলে না : প্রধানমন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১০:১৯:১৪ অপরাহ্ন
লণ্ডন অফিস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘আজকের বাংলাদেশ ভিক্ষায় চলে না। আজকের বাংলাদেশ ৯০ পার্সেন্ট নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়নের কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই, বরং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই মর্যাদা ধরে রেখে একটি উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে।’
তিনি ৭ নভেম্বর রোববার লণ্ডনে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় সেন্টারে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জনসভায় লণ্ডনে তাঁর আবাসস্থল থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রবাসীদের অনেক অবদান। আমার সেটা মনে আছে। আপনাদের কি কি অসুবিধা হয় আমাদের জানাবেন, বিনিয়োগে অসুবিধা হলে, আমরা দেখব। বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধী দল সংঘাত করে, ধ্বংস করে, মানুষকে শান্তি দিতে পারে না। আমরা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ কঠোর হাতে দমন করেছি মানুষকে শান্তি দেওয়ার জন্যে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। আমরা জাতির পিতা হত্যার বিচার করেছি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের ভোট চুরি করে অপরাধীদের পার্লামেন্টে বসায়। এতিমদের হক না দিয়ে নিজের একাউন্টে নিয়ে ভোগ করতে যেয়ে আজ সাজাপ্রাপ্ত। তাদের কাছে দেশপ্রেম নেই। আছে কেবল জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিলাসিতা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা মোকাবেলা করছি। আমরা দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। একটা মানুষও বাদ যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আমরা সকলকে আলো দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। মুজিবের বাংলায় একটা মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমার বাবা বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমি জানি বাংলাদেশের উন্নয়ন কীভাবে করতে হয়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এ জনসভা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের একটি আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। চরম দুঃসময়ে আপনারা আমার বাবার সাথেও ছিলেন, আমার সাথেও আছেন। এই লণ্ডনে এখন প্রায় ৪০/৪২টি সংগঠন। ৮০ সালে যখন এখানে আসি। অনেক এলাকায় ঘুরেছি। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক লড়াই করে আমি বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছি। অনেকেই আপনারা আমার সাথে গিয়েছিলেন। আগরতলা ষড়যত্রন্ত্র মামলা যখন দিয়েছিল, আপনারা পাশে ছিলেন আমার বাবার। তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়ে ছুটে এসেছিলেন আপনাদের দেখতে। আমার সৌভাগ্য তখন আমি জাতির পিতার সাথে ছিলাম।’
এ জনসভায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখছিলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন, অধ্যাপক আবুল হাশেম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ আহমেদ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ চৌধুরী, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক লালা মিয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, যুবলীগ সভাপতিফখরুল ইসলাম মধু, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সভাপতি ব্যারিস্টার এনামুল হক।