শান্তিতে নোবেল পেলেন দুজন সাংবাদিক
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ৪:৪৭:১৯ অপরাহ্ন
মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মুরাতব
‘A world without facts means a world without truth and trust’ – Maria Ressa
সিলেট অফিস, নিউজ ডেস্ক : এবার শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পেলেন দুজন সাংবাদিক। তারা হলেন মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মুরাতব। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ও বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় নরওয়ের নোবেল কমিটি এ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
নোবেল কমিটি বলছে, গণতন্ত্র ও টেকসই শান্তির পূর্বশর্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য এই দুই সাংবাদিককে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
নোবেল কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, ২০২১ সালের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন সকল সাংবাদিকের প্রতিনিধি যারা এমন একটি বিশ্বে এই আদর্শের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন যেখানে গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি।
মারিয়া রেসা ফিলিপাইনে ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতা ও কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে তার মত প্রকাশের ক্ষমতা কাজে লাগিয়েছেন।
দিমিত্রি মুরাতব কয়েক দশক ধরে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বাক স্বাধীনতা রক্ষা করেছেন।
মারিয়া রেসার জন্ম ১৯৬৩ সালে, ফিলিপাইনের ম্যানিলায়। তিনি ফিলিপাইনের অনলাইন সংবাদমাধ্যম র্যাপলারের সহ প্রতিষ্ঠাতা। এশিয়ায় তিনি ৩৫ বছর ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। সাংবাদিক হিসেবে তিনি ফিলিপাইনে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। দুতার্তে সরকারের আমলে তিনি জেলও খেটেছেন।
দিমিত্রি মুরাতবের জন্ম ১৯৬১ সালে, রাশিয়ার সামারায়।তিনি রাশিয়ার নভায়া গেজেটা নামক সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক। রাশিয়ায় একমাত্র সত্যিকারের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম হিসেবে পরিচিত নভায়া গেজেটা।
ফিলিপাইনে সাংবাদিকদের খুবই প্রতিকূল একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। সেই ফিলিপাইনের একজন সাংবাদিকের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্তি সেখানকার পরিস্থিতির জন্য কতটা সহায়ক হবে— সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক।
এ প্রশ্নের জবাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির চেয়ার বেরিট রেইস-অ্যানডারসেন বলেন, এই পুরস্কার সাংবাদিক কিংবা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক কোনো সমস্যার সমাধানও করবে না। তবে আজকের এই বিশ্বে সাংবাদিকদের কাজের গুরুত্ব কতটা, সেটি এই পুরস্কারটি তুলে ধরবে বলে আমরা আশা করি। সংঘাতে পূর্ণ এই সময়ে সারাবিশ্বেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কতটা বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, এই পুরস্কার সেই বার্তাটি সবাইকে দেবে।
রেইস-অ্যানডারসেন আরও বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) সবশেষ যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক (প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স) প্রকাশ করেছে, সেখানেও দেখব— গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সারাবিশ্বেই চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তাই আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্র ও শান্তির জন্য এই কার্যক্রম কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি তুলে ধরা।