সরে যেতে হয়, প্রজন্মের প্রহরী আসে নতুন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৬:০৬:২৭ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক : এ্যাঞ্জেলা মেরকেল জার্মানির জন্যে অনেক কিছু করেছেন কেবল না, ইউরোপের জন্যেও তার অবদান অতুলনীয়। তাকে বলা হয় ইউরোপের স্থায়ীত্বের প্রতীক। ২০০৫ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ বিষয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মেরকেলকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সফল নারী নেত্রী।
তবে অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়বেন না। বয়স হয়েছে। বয়সের কাছে তো এক সময় বলবান মানুষটিকেও হেরে যেতে হয়। দীর্ঘ দিন মাস বছর ক্ষমতায় থেকে অনেক ভাল কাজ করলেও এক সময় সরে যেতে হয় জনপ্রিয় নেতাকেও। নতুনের হাতে দিতে হয় দায়িত্ব। পৃথিবী থেকে কর্মবীরকেও চলে যেতে হয়, অলসকেও চলে যেতে হয়। যে ফুলের অনেক নাম সুনাম সেও ঝরে পড়ে, অচিন গন্ধহীন বুনোফুলও ঝরে যায়। এ এক নির্বিকল্প নিয়ম।
জার্মানিতে গত ৩০ বছর ধরে যে আসনটি অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের দখলে ছিল, এবারের নির্বাচনে সেই আসনটি চলে গেছে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) দখলে।
১৯৯০ থেকে একচেটিয়াভাবে দখলে রাখা সেই আসনে এবার জিতেছেন ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া আরেক নারী আনা কাসাউৎস্কি।
এ ঘটনা প্রমাণ করছে, রোববার জার্মানের ভোটাররা রায় দিয়েছেন প্রজন্মের প্রহরী পরিবর্তনের পক্ষেই। দি গার্ডিয়ান।
ভার্পোমান রুজেন-ভার্পোমান গ্রিফসওয়ার্ল্ড জেলার আসনটি থেকে সরাসরি ম্যান্ডেটে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।
এবার এটি হাত ছাড়া হলো। কারণ, এই আসনে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মার্কেল মনোনীত ৩৩ বছর বয়সি কর নিরীক্ষক জর্জ গুন্থার। নির্বাচনে ২৪.৩ শতাংশ পয়েন্ট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনা কাসাউৎস্কি। আর গুন্থার পেয়েছেন ২০.৪ শতাংশ পয়েন্ট।
নির্বাচনে জয়লাভের পর কাসাউৎস্কি বলেন, ‘আমি অবিশ্বাস্যভাবে সম্মানিত বোধ করছি। এটা আমাদের দলীয় প্রচেষ্টারই ফল।’ হাইডেলবার্গে জন্ম নেওয়া তরুণ এ রাজনীতিবিদ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে জেলাপর্যায়ের একজন নেত্রী।
পেশার সূত্রে তিনি গ্রিফসওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবার সহায়তা পরিষেবা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
টুইটারে দেওয়া কাসাউৎস্কির জীবনী বলছে, তিনি সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে অনুপ্রাণিত এবং তিনি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নারীবাদী ইউরোপিয়ান।
নির্বাচনে তার এই বিজয় জার্মানির উত্তর-পূর্বে ব্যাপক ক্ষমতার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে এসপিডি ব্র্যান্ডেনবার্গ এবং ম্যাকলেনবার্গ-ভোরপোমার্ন রাজ্যের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ধারণাতীত ফলাফল অর্জন করেছে।
গ্রীন পার্টি, যার শুধুমাত্র একটি সরাসরি ম্যান্ডেট ছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম বাডেন-ওয়ার্টেমবার্গ এবং মিউনিখের মতো রক্ষণশীল শক্তির ঘাঁটিতে অসম্ভবভাবে আসন বাজিমাত করেছে। তাদের সরাসরি নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা ১৬।




