ব্রিটেনের গ্রীন তালিকায় আরও ৭ দেশ, এখনো লাল তালিকায় বাংলাদেশ

লন্ডন অফিস : কভিড-১৯ এ আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ভয়াবহতার উপর ভিত্তি করে লাল, আম্বার এবং গ্রীন তিনটি তালিকা করেছে ব্রিটেন। মহামারি থেকে ব্রিটেনের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য অন্য দেশের যাত্রীদের বৃটেনে প্রবেশের নিয়মনীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
১.লাল তালিকার দেশের যাত্রী বৃটেনে প্রবেশ করলে
হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ২. আম্বার তালিকার দেশের যাত্রীদের বাসায় সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।
৩. গ্রীন তালিকার দেশের যাত্রীদের হোটেল কোয়ারেন্টাইন অথবা সেল্ফ আইসোলেশন লাগবে না তবে ১০ দিন অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৪. কভিড টেস্ট, PCR টেস্ট, ভ্রমনের পূর্বে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট এবং ভ্যাকসিনের দুই ডোজ সকল যাত্রীর জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য।

উল্লেখ্য, দি জয়েন্ট বায়োসিকিউরিটি সেন্টার (JBC) এবং
দি ইউকে ফরেন কমনওয়েল্থ এ্যান্ড ডেভেলভমেন্ট অফিস (FCDO) এর যৌথ গবেষণার তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাস মহামারি আক্রান্ত এবং মৃত্যুর মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে লাল, আম্বার এবং গ্রীন দেশের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। করোনার প্রভাব বেশী বা কমের উপর নির্ভর করে কখনো গ্রীন থেকে আম্বার আবার আম্বার থেকে লাল তালিকা হয়ে থাকে।

সেই হিসেবে আজ ৩০ আগস্ট সোমবার থেকে
গ্রীন তালিকায় যোগ হলো: ফ্রিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, দি আজোয়াস, লাইসেস্টাইন, লিথুনিয়া, কানাডা এবং ডেনমার্ক।
প্রথম থেকেই গ্রীন তালিকায় রয়েছে মাল্টা, বারবাডোজ এবং জার্মান।

কিন্তু বাংলাদেশ এখনো লাল তালিকায় রয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম আরো প্রসারিত হলে এবং করোনার আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এলে লাল থেকে আম্বারে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

লাল তালিকাভূক্ত দেশের একজন যাত্রীকে ১০ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলেক এবং এর জন্য দিতে হবে ২২৮৫ পাউন্ড।
১১ বছরের বেশি বয়সের জন্য ১৪৩০ পাউন্ড এবং ৫ থেকে ১১ বছর বয়সের জন্য ৩২৫ পাউন্ড। আর ৫ বৎসরের নিচের শিশুরা ফ্রি।