সিলেটে ১০০ টাকার কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা

অনুপম প্রতিবেদক: সিলেটে হঠাৎই আগুন লেগেছে কাঁচামরিচের দামে। হাত দেয়া যায় না। ঈদের আগে এক কেজির দাম ১০০ টাকা ছিল। আজকের বাজারে ১ কেজি ৪০০ টাকা। আজ আড়াই’শ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

আরবিরা কথ্য ভাষায় মরিচকে বলে ‘হার’। ‘হার’ মানে গরম, ‘হার’ মানে ঝাল। খুব বেশি গরম হলে বলবে ‘নার’, মানে আগুন বরাবর কিছু। বাজারে কোনো কিছু বেশি দাম বোঝাতে তারাও ‘নার’ বা ‘হার’ ব্যবহার করে থাকে।

ঈদের পরদিন কেজি প্রতি মরিচের দাম ৩০০ টাকা হয়।

ঈদে সবজির আড়তে কম পণ্য আসায় বাড়তি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে আরও কয়েক দিন পর দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। এ সময়ে সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে। ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, গাজর, শসা, করলা।

তবে ঈদের আগে ধনেপাতার দাম বাড়তি থাকলেও ঈদের পরদিন কিছুটা কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। 

কিছু বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে পণ্য কম আসায় আড়তদারেরা দাম বাড়িয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের সোবহানীঘাট সবজির আড়ত ও বন্দরবাজার, কাজীরবাজার এবং রিকাবীবাজার সবজির বাজারে ক্রেতা কম। বিক্রেতারা বাড়তি দাম চান।

নগরের বন্দরবাজার এলাকার এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদের আগের দিনও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। ঈদের কারণে সবজির গাড়ি আসেনি। আড়তেও কাঁচামরিচ নেই। অনেক ঘুরে কিছু মরিচ সংগ্রহ করেছি। এর জন্য দাম বেশি। ’

সবজি কিনতে আসা নগরের মাছুদীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘হঠাৎই কাঁচামরিচের দাম বাড়তি চাচ্ছেন দোকানদারেরা। গত এক সপ্তাহ আগেও কেজিতে ৯০ টাকায় নিয়ে গেছি। আজ ৪০০ টাকা। এ জন্য এক কেজির জায়গায় আড়াই’শ গ্রাম নিয়ে যাচ্ছি।’