উদীচীর কার্যালয়ে বোমা হামলা: জেএমবি সদস্য পনিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুলাই ২০২১, ৯:০৯:৪২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : নেত্রকোনায় উদীচীর কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্য আসাদুজ্জামান পনিরের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ ওই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করে।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া ওই জেএমবি সদস্য ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার কানাইকরস্থান গ্রামের ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদ (৩৭)। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার কয়েদী নং ৫৪১/এ ছিল।
নেত্রকোনা উদীচীর কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্য আসাদুজ্জামান পনিরের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগ খারিজ করে দেওয়ায় পনিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা ছিল না।
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নেত্রকোনা উদীচীর কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনিরের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন পনির।
এ মামলায় আসাদুজ্জামান পনির, সালাউদ্দিন সোহেল ও ইউনুছ আলীকে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২। মামলার অপর আসামি সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আরেক আসামি বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী ফারজানাকে খালাস দেন আদালত। এরপর ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।
২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে বোমা হামলা হয়। এ হামলায় ৮ জন নিহত হন।
জানা গেছে, গত ২০০৫ সালে ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বোমা বিস্ফোরণে সহযোগিতা করে আসাদুজ্জামান পনির। ওই বোমা হামলায় ৮ জন নিহত এবং অনেক লোক আহত হয়। এ ঘটনায় জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনা থানায় মামলা নং- ০৮(১২)২০০৫ ধারা-১২০ বি/৩০২/৩৪/১০৯, আদালত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড, কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় একটিতে ১০ বছর অন্যটিতে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।