বৃটেনের বিখ্যাত স্টৌক পার্ক হোটেল কিনে নিয়েছেন ৫৯৩ কোটি রুপি দিয়ে মুকেশ আম্বানি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ৫:২৩:৩৯ অপরাহ্ন
করোনা মহামারির কারণে ব্যবসায়িক দিক থেকে খুব একটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে। এই দুঃসময়ে তার সংস্থায় লগ্নি করেছে ফেসবুক, গুগলের মতো সংস্থা।
অনুপম প্রতিবেদক: বৃটেনের বিখ্যাত স্টৌক পার্ক হোটেলটি কিনে নিয়েছেন বিশ্বের ১৩তম ধনী ভারতের মুকেশ আম্বানি। সম্পদটি ক্রয় করেছে মুকেশের সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিশ্বের ধনীদের টুরিস্ট স্পট এ বিলাসবহুল হোটেলের দাম দিলেন মুকেশ ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫৯৩ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৬৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ৮৪ হাজার টাকা)।
উল্লেখ্য, বৃটেনের খ্যাতনামা খেলনা প্রস্তুতকারক সংস্থা হ্যামলেইসের মালিকও ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি।
স্টৌক পার্ক কিনে মুকেশ বৃটেনের আইকনিক কান্ট্রি ক্লাব এবং বিলাসবহুল গলফ রিসর্টের মালিক বনে গেলেন।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃটেনের বাকিংহামশায়ারের বিলাসবহুল হোটেল এবং গলফ কোর্স রিলায়েন্সের কনজিউমার অ্যান্ড হসপিটালিটি সম্পদে যুক্ত হল।
জানা গেছে, ৩০০ একর জায়গার উপর বৃটেনের এই পার্কটির ভিতরে রয়েছে বিলাসবহুল হোটেল, কনফারেন্স সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে খেলাধুলার একাধিক উপকরণ। শুধু তাই নয়, ইউরোপের অন্যতম বড় গলফ কোর্সও রয়েছে এখানে। যেখানে আবার জেমস বন্ডের দুটি ছবি গোল্ডফিঙ্গার ও টুমরো নেভার ডাইস সিনেমা দুটির শুটিং হয়েছিল। গোল্ডফিঙ্গার সিনেমার পর থেকেই এই গলফ কোর্সটির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। এছাড়াও এখানেই সম্পন্ন হয়েছে ‘ব্রিজেট জোনসেস ডায়েরি’ এবং নেটফ্লিক্সের ‘দ্য ক্রাউন’ সিনেমার শুটিং।
এই স্টৌক পার্ক আসলে ৯০০ বছরের পুরনো। ১৯০৮ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। এতে রয়েছে ৪৯টি বিলাসবহুল বেডরুম, ২৭টি গর্তের গলফ কোর্স। এছাড়াও রয়েছে ১৩টি টেনিস কোর্ট এবং ১৪ একরের বাগান।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ব্যবসায়িক দিক থেকে খুব একটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে। এই দুঃসময়ে তার সংস্থায় লগ্নি করেছে ফেসবুক, গুগলের মতো সংস্থা। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসাতেও লাভের মুখই দেখেছেন রিলায়েন্স কর্ণধার। বর্তমানে আবার তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭১৫০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি রুপি।
সূত্র: এনডিটিভি, বিজনেসইনসাইডারইন্ডিয়া