সিসিক কাউন্সিলর লায়েকের বাসায় হামলা, একদিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে বলেছেন মেয়র
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩০:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বাসা এবং কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে ২৩ এপ্রিল শুক্রবার রাতে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানা যায়। মামলা দায়েরের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাত ৮টার দিকে নগরীর মুন্সিপাড়াস্থ ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বাসা এবং কার্যালয়সহ আশপাশ আরও অন্তত ২০টি বাসায় একই সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ ও ‘নারায়ে তাকবির- আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত। কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক বলেন, ‘আমি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পাই, অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ১৫-২০ জন দৃর্বৃত্ত প্রথমে ‘নারায়ে তাকবির- আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে হামলা করে আমার বাসার গেটের সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। পরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বাসার গেট ও কার্যালয়ে হামলা এবং ভাঙচুর চালায়। আমার বাসা ছাড়াও আশপাশের আরও অন্তত: ২০টি বাসায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।’
তিনি বলেন, ‘যারা হামলা করেছে সিসিটিভি ফুটেজে তাদের চেহারা স্পষ্ট দেখা গেছে। পুলিশও তাদের চিনতে পেরেছে। ভোটের সময় যারা আমার সাথে ছিলেন বা যারা কাজ করেছিলেন তাদের বাসায়ও হামলা চালানো হয়। এছাড়াও কেটে দেয়া হয়েছে আমার বাসার বিদ্যুৎ লাইন এবং সিসিটিভির ক্যাবল।’
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ মিডিয়াকে বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয় কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। মামলা দায়েরের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বাসা এবং কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর বাসাটি পরিদর্শন করেছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। রাত ১২টার দিকে লায়েকের বাসা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আজাদুর রহমান আজাদ, রেজওয়ান আহমদ ও মখলিছুর রহমান কামরানসহ সিসিকের প্রায় ১৫ জন কাউন্সিলর। সেখানে জরুরি বৈঠক করেন মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ। বৈঠক থেকে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফকে ফোন করে আইনি সহায়তা চান মেয়র আরিফ। বৈঠক শেষে মেয়র আরিফ উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমরা এসএমপি কমিশনারের কাছে ফোন করে আইনি সহায়তা চেয়েছি। তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা একদিন সময় নিবো। একদিনের মধ্যে যদি হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হয় তবে আগামী রোববার আমরা নগরভবনে বৈঠকে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবো।