কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা দিয়ে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১:০২:৫৭ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, কৃষি আমাদের উন্নয়নের সব থেকে বড় মাধ্যম। কৃষি-ভিত্তিক অর্থনীতি আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কৃষি অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা শিল্পের দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছি। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ব্যাবস্থা এবং দেশে-বিদেশে পণ্য যেন আমরা রপ্তানি করতে পারি তার ব্যবস্থা করে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা আমরা দিয়ে যাচ্ছি। কারণ দেশের কৃষিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
কৃষক লীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারণকৃত ভাষণে তিনি একথা বলেন। সোমবার রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি গবেষণার ওপর। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন থেকেই কৃষি গবেষণায় আমরা গুরুত্ব দেই। আজকে গবেষণার ফলে আরও নতুন নতুন ধরনের ফসল উৎপাদন- তরি-তরকারি, ফল-মূল এবং দানাদার খাদ্য-শষ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্য যেন উৎপাদন হতে পারে তার জন্য ব্যাপক হারে গবেষণা হচ্ছে এবং উন্নতমানের বীজ আমরা সরবরাহ করছি। যার ফলে আজকে কৃষক খুব অল্প কষ্টে অধিক পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করতে পারছেন, ধান উৎপাদন করতে পারছেন, গম করছেন, ভুট্টা করছেন এবং সব ধরনের ফসল উৎপাদন করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং তা বাজারজাত করার ব্যাবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের সময় যখন ধানকাটা নিয়ে সমস্যা হলো- আমি যখন আমার দলের নেতাকর্মী বিশেষ করে ছাত্রলীগকে আহ্বান করলাম, আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামী সকলে মাঠে নেমে পড়লেন। কৃষকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন। আর যান্ত্রিকীকরণের জন্য হারভেস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের যন্ত্র আমরা ধীরে ধীরে কৃষকের হাতে পৌঁছে দেব।
কৃষক লীগের নেতাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবাসহ সব ধরনের মৌলিক অধিকার পূরণের জন্য জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে। আমি এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের সকল কৃষক-কৃষাণী, তাদেরকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। কারণ, তারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাদ্য উৎপাদন করেন। সেই খাদ্য খেয়েই আমরা বেঁচে থাকি। কাজেই তাদের প্রতি আমাদের সব সময় সমর্থন রয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা করা, এটা আমরা বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের কর্তব্য মনে করে।
তিনি বলেন, কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা যখন প্রথম সরকার গঠন করলাম। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতা দখল করল এবং এদেশের কৃষকদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করল এবং যাদের গুলিতে সার চাইতে গিয়ে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হলো, এ ধরনের ঘটনাও বাংলাদেশে ঘটেছে।