আমার আইডেন্টি,আমার বাংলাদেশ: বাবুল রহমান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৮:০৩:১৯ অপরাহ্ন
আমার আইডেন্টি,আমার বাংলাদেশ: বাবুল রহমান
প্রায় দু’শত বছর চলা ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর দেয় আপামর জনসাধারণ অতঃপর দুটো রাষ্ট্রের জন্ম।তারপর পাকিস্তানের অন্যায় অবিচার শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আদায় করতে হয় ন্যায্য হিস্যা।অত্যাচারিতদের বিতারণ করে স্বাধীন ভূখন্ড ও পতাকা,তৃপ্ত হয়েছে বাঙ্গালী জাতি।
ব্রিটিশ শাসনামলের কিছু ভালো ও কিছু খারাপ দিক রয়েছে যেমন ক)শিক্ষা ব্যবস্হার উন্নতির জন্য নতুন নতুন স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।খ)যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নতির জন্য সড়কপথ, রেলপথ উন্নয়ন এবং টেলিগ্রাফের প্রচলন করা হয়।
খারাপ দিক -কর ভাগ,শাসন কর এই নীতির ফলে তারা এদেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম বর্ণ জাতি এবং অঞ্চলভেদে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল।অল্প সংখক জমিদারের নিকট অনেক জমির মালিকানা চলে যায় বেশিরভাগ মানুষই ভূমিহীন ও গরিব হয়ে যায়।ব্রিটিশদের শাসন ও শোষণের ফলে আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তনের সূচনা হয়।
ব্রিটিশদের গোলামী করা লোকের সংখ্যা কম থাকলেও তারা নির্বংশ হয়নি,তাদের উত্তরাধিকার চলছে চলবে সেটা স্বাভাবিক।আল জাজিরার সংবাদে উল্লাসিত জনগণ মিষ্টি খান,মনে হচ্ছে আবার কোন একটা স্বাধীনতা পেয়েছেন,কিছু লোকের তৃপ্তির ঢেঁকুরে মনে হয় #শেখ_হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন।
কি ছিলো আল জাজিরাতে,যাদের কথায় এতো আনন্দিত তারা কি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা? একজন সেনাপ্রধানের ভাইয়ের জীবন বৃত্তান্ত ছাড়া কি সেখানে.!ওর ভাইয়েরা খুনের আসামী,পলাতক হয়ে বিভিন্ন নামে দেশবিদেশে ব্যবসা করছে তাতে সরকার বা শেখ হাসিনার কি পেলেন,#বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কি বিভিন্ন দেশে আত্বগোপন করে ব্যবস্যা বাণিজ্য চালায়নি?
সেনাপ্রধানের সেনাবাহিনীতে যোগদান ৮১ সালে,দীর্ঘ কর্মজীবনে প্রোমোশন পাবে স্বাভাবিক তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন বিবেচনায় অথবা অন্য কাউকে ডিঙ্গিয়ে হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে তাই বলে তার মেধার মূল্যায়ন হবেনা।তার ভাইয়েরা নষ্ট বিধায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেনি,পরিবারকে দিয়ে মূল্যায়ন করতে হলে অনেক আগেই চাকুরিচ্যুত করা উচিত ছিলো।সস্তা সমালোচনা করে বাহবা পাওয়া যাবেনা,ভাইরাল ভিডিওতে শেখ হাসিনা বা সরকারের সম্পৃক্তার যোগসাজশ আছে বলে মনে করিনা।
#বিশ্ববাসী জানে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই পাসপোর্ট দেখিয়ে জানাতে হবেনা,কে কখন চুটিয়ে ব্যবসা করলো সেটাতো ব্যক্তির,দেশের নয়।আমার প্রশ্ন হলো একজন সুস্হ স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ কেমনে এ বিষয়ে দেশ সরকার ও শেখ হাসিনাকে জড়াবেন,এখানে কি শেখ হাসিনা বা সরকারের মুখপাত্রের ভূমিকা ছিলো!
আল জাজিরা অনেক দেশেই প্রচার করতে পারেনা তাদের এসব ব্যক্তি ও দেশ বিরোধী কার্যকলাপের সমর্থন নেই,এটি কাতার সরকারে অর্থায়নে চলে এবং একি সংবাদ ইউরোপ আমেরিকাতে ভিন্নভাবে উপস্হাপন করে।জেনারেল আজিজের ভাই খুন হয়েছিলো কিভাবে,কোন সরকারের আমলে,এমনকি দোষীরা সাজা পেয়েছিলো কিনা সেগুলোর উল্লেখ নেই তবে তার ভাইয়েরা সন্ত্রাসী সেগুলোর সুন্দর উপস্হাপন।সন্ত্রাসীদের জন্ম হয়েছে রাজনৈতিক পরিসরে,বিভিন্ন সময়ে সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহার করা হয়,আজ হঠাৎ করে ওরা সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে ফিরছেনা।সন্ত্রাসের জন্মদাতা,লালন পালনকারী নেতারা কাঙ্খিত জায়গায় পৌছাঁলেও ওরা কেউবা নিহত কেউবা আত্বগোপনে মানষিকভাবে অস্হির জীবন যাপন করছে,আজ তারা উচ্ছিষ্ট।আমি কোন অবস্হাতেই এইসব অপরাধীর পক্ষে উকালতি করতে আসিনি তবে অপরাধের উৎপত্তিস্হল এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পরথেকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল কোনভাবেই দায় এড়াতে পারেনা।বীজ রোপণ করে সার দিয়ে তদারকি করলে ভালো ফলন হয়,ডালপালাও বেশ জন্মায়,এগুলো ছাঁটাই না করা হলে বিপদ হতে পারে।
এদেশ আমার,এদেশ আপনার,সরকারকে ছাড় দেয়া যাবেনা,সরকারকে চাপের মধ্যে রেখে দেশের উন্নতি কিংবা সুস্হধারার রাজনীতি ও সমালোচনা করবো।ডাহা মিথ্যে ও হাস্যকর কিছু দিয়ে সত্যকে গোপন করা যায়না,সরকারের ভুল নীতিমালার উপর সোচ্চার থেকে আদায় করে নিব।বাড়া ভাতে কিছু পড়লে সজাগ হয়ে উল্টোপাল্টা বক্তব্যে চিড়ে ভিজবেনা,আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ রেখে যেতে হলে সত্যকে সত্য বলতে হবে,মিথ্যের আশ্রয়ে সত্য পরাজিত হবেনা।
এ সরকার জনবিরোধ কর্মে লিপ্ত থাকলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় করেন,এমনকি ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন সরকারের ডাক দেন কিন্তু অপবাদ কুৎসা রটিয়ে দেশ ও জাতিকে বিশ্বের কাছে হেয় করতে যাবেন না,কূটনীতি পাড়ায় গিয়ে তাদের পা টিপিয়ে নিজের গোলামী রক্তের পরিচয়ে দিতে যাবেননা।রাজতন্ত্রের ধারক বাহক হয়ে কতকাল কাটাবেন,পারলে এইতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গনতন্ত্রের সুফল ভোগ করুন।নিজের দলকে শুদ্ধ করে নিন দেখবেন প্রত্যেক দলই করতে বাধ্য হবে,পরিবারতন্ত্রের হয়ে কতকাল তোষামোদী করে যাবেন।আইন শৃঙ্খলার উন্নতি চাইলে প্রকৃত গনতন্ত্রের স্বাদ পেতে হলে আর্টিক্যাল ৭০ বাতিল করতে হবে,তা করতে যাবেন না কেননা সেখানেই সব মজা,বাণিজ্য থেকে শুরু করে খবরদারি করা।বিরোধীদলে অবস্হান করে মায়াকান্না দেখায়ে লাভ হয়না বরং সরকারে গিয়ে সেগুলোর মাত্রা বেড়ে যায়,ক্ষমতা সব ভুলিয়ে দেয়।দুইহাজার তেরো সালে হেফাজতকে নিয়ে এই আল জাজিরা বিরাট প্রতিবেদন দিয়েছিলো লক্ষলোকের প্রাণহানী,অনেক অনুসন্ধানের পর কিছু মেলেনি,ধরে নিলাম সরকার হত্যা করে ধামাচাপা দিয়েছে কিন্তু তাদের মা বাবা পরিবারের মিছিলে সরকারের পতন হওয়ার কথা ছিলো।এসব মিথ্যে সাজাঁনো কথার মালা মনে ঠাঁই দেবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন,কিছু জিনিষ যাচাঁই বাচাঁই করলে উত্তর পেয়ে যাবেন,কোন দলের অনুসারী বিবেচ্য নয়।সত্যকে জানুন নিজেকে সংকীর্ণতার উর্ধে নিয়ে আসুন,দেশ টিকে থাকলে আপনি নতুবা অস্তিত্ব সংকটে।আমি এই সরকারের মূখপাত্র নই,সরকারের পক্ষে সাফাঁই গাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই এমনকি দলের কোন কর্মিও নই,শুধু প্রবাস থেকে বসে অপরাজনীতি,কান্ডজ্ঞানহীন রসাত্বক মন্তব্যে বিব্রতবোধ করছি।এই রিপোর্ট বা ড্রামা থেকে কি কোন দূর্নীতির উদঘাটন হয়েছে,কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার?
পরিশেষে বলতে চাই এ ভিডিওটির পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে যা কিনা আধুনিক ফিল্ম তৈরীতে এতো টাকা খরচ হয়না,কার স্বার্থে টাকা খরচ হলো,কি উদ্দেশ্যে,কেনইবা একজন রাষ্ট্র প্রধান বা সরকারের বিরুদ্ধে পাতানো নাটক.!কখনো কি ভেবে দেখেছেন? জেনারেল আজিজ যদি সেনাপ্রধান থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে টাকা পাচার করেন,ক্ষমতাদ্বারা প্রভাবিত করে নিজের ভাইদের সুযোগ করে দেন সেগুলো খতিয়ে দেখে বিচারের মুখোমুখি করা হোক তবে নিজের পারিশ্রমিক দিয়ে ভাইদের সাহায্য করা নাজায়েজ নয়,হোক সে আইনের কাছে অপরাধী অথবা ফেরারী আসামী।অপরাধকে ঘৃণা করলেও রক্তের বাঁধন ভাইকে অনেকে হয়তো ফেলতে পারেনা।ইসলামের দৃষ্টিতে পিতার অপকর্মের দায়ভার পুত্রের উপর বর্তায় না সুতরাং ভাইয়েরটাও পরিবারের উপর পড়ে না।টাকা জোগান দিতে যদি রাষ্ট্রের ক্ষমতা ব্যবহৃত হয় অথবা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের তছরুফ হয় তবে অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং সে অনুযায়ী সরকার ব্যবস্হা করবেন।
#বাংলাদেশ#বঙ্গবন্ধুশেখহাসিনাওআওয়ামীলীগ এগুলোর প্রতি এলার্জি থাকলে সেটি ভিন্ন কথা তবে কিছু এলার্জি রোগের ঔষুধের নাম দিলাম#Citirizine#Loratidine
#Fexofenadine#Dipenhydramine সেবন করে দেখতে পারেন সাথে #Clotrimazole#Hydrocortizon
#Steroidbased যেকোন মলম তারপরও কাজ না হলে আপনাকে এ সমস্যা নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হতে হবে অর্থাৎ মৃত্যু তবে আল্লাহ হেদায়েতের মালিক।
লেখক পরিচিতি: বাবুল রহমান
কলামিষ্ট,রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক,যুক্তরাজ্য।