গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:৩৪:২৮ অপরাহ্ন
সাফওয়ান মনসুর: গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে ভার্চুয়ালি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫৫তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৫।
গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর-এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি লিডার ময়নুল চৌধুরী হেলাল-এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ১৯৭১-এর বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরুপ রতন চৌধুরী। তিনি অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ও বিজয়ের গান পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন ⤵
অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান, চিফ ট্রেজারার ডা. রফিকুল হায়দার, আব্দুল ওদুদ দিপক, শামীম আহমেদ, মোস্তাক আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহিব উদ্দিন এবং বিশিষ্ট ব্যাংকার, জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম শামীম আলম কোরেশী।
ফ্রান্স থেকে যুক্ত হন সভাপতি ফয়ছল উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল বাসিত। পর্তুগাল শাখা থেকে সভাপতি লায়ন আবুল হাসনাত, এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক (বাফলো) থেকে শাম্মী আক্তার হেপীসহ ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইংল্যান্ড, ইতালি, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পাশাপাশি গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।
আলোচনায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল চৌধুরী হেলাল বলেন, “মহান বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত সাফল্যের স্মারক। স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ট্যাংক, কামান ও মেশিনগানের মতো ভয়ংকর সমরাস্ত্র নিয়ে গণহত্যায় মেতে ওঠে। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে বাংলার বীর সন্তানেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে স্বাধীনতার জন্য মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় আমাদের চিরন্তন অহংকার। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।


