তীব্র সৌর বিকিরণে এয়ারবাসের কি কি ক্ষতি হতে পারে?
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮:০১ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: তীব্র সৌর বিকিরণ কোনো বিমানের জন্যই অস্বস্তিকর একটি বাস্তবতা। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সৌর ঝড়ের পর দেখা গেছে—Airbus A320-পরিবারের বিমানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বিকৃত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ডিমের খোলসের মতোই, আকাশের ওপরের স্তরটিও সূর্যের অতিরিক্ত তেজে ফেটে বদলে যায়। আয়োনোস্ফিয়ারের ভেতর দিয়ে চলা সংকেতগুলো তখন আর আগের মতো পরিষ্কার থাকে না। নেভিগেশন সিস্টেম হঠাৎ ভুল পজিশন দেখাতে পারে, স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগে দেরি বা বিচ্ছিন্নতা দেখা দিতে পারে, রেডিওতে শব্দ উঠতে পারে। বিমানের ফ্লাইট-কন্ট্রোল সফটওয়্যারের জন্য যে মূল তথ্যগুলো দরকার—সেগুলোর কিছু অংশও বিকৃত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই কারণে বিশ্বজুড়ে ছয় হাজারের বেশি ফ্লাইট স্থগিত বা পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি আতঙ্ক নয়—সতর্কতা। আকাশে উঠলে পাইলট, যাত্রী আর বিমান—সবার নিরাপত্তা একসঙ্গে বাঁধা। তাই যেই মুহূর্তে দেখা গেল তীব্র সৌর বিকিরণ কিছু বিমানের ডেটা-ব্যবস্থাকে অস্থির করতে পারে, তখনই উড়ান বন্ধ করা হয়েছে। সাধারণত এমন সৌর ঝড় বিরল; কিন্তু যখন ঘটে, তখন সামান্য ত্রুটিও বড় বিপর্যয়ে গড়াতে পারে।
আরও পড়ুন ⤵
ফলে বিষয়টি ক্ষতির চেয়ে বেশি প্রযুক্তিগত সতর্কতা। সৌর বিকিরণ সরাসরি বিমানের লোহা গলিয়ে দেয় না, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয় না; কিন্তু এর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রভাব তথ্যের ওপর—যেখানে ভুল তথ্যই সবচেয়ে বড় বিপদ। এই মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও নির্মাতারা সফটওয়্যার আপডেট, সিস্টেম চেক এবং নিরাপত্তা রুটিন জোরদার করছে। আকাশ পরিষ্কার হলে যেমন দেখা যায় দূরের পাহাড়—তেমনই সূর্যের তেজ কমলেই সংকেতগুলো আবার স্বাভাবিক হবে, আর বিমানগুলো ফিরে আসবে নিয়মিত আকাশপথে।




