যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩ শিশুসহ ১১, হামাসের হামলায় ২ ইসরাইলি সেনা নিহত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫০:৫৪ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পরই ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘনের এ ঘটনা ঘটালো।
রোববার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় দুই সেনা নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মেজর ইয়ানিভ কুলা (২৬) ও সার্জেন্ট ইতাই ইয়াভেটজ (২১)। একই ঘটনায় সেনাবাহিনীর এক রিজার্ভ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহত ও আহত সেনারা নাহাল ব্রিগেডের ৯৩২তম ব্যাটালিয়নের সদস্য।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরাইল।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের বেসামরিক একটি গাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে তারা তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখতে যাচ্ছিলেন।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনজন নারী।

নিহত দুই সেনা। ছবি: দ্য টাইমস অব ইসরাইল
তিনি বলেন, ‘তাদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদার বাহিনী এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।’
সংস্থাটি এক পৃথক বিবৃতিতে জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) সহায়তায় তারা এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনো নিখোঁজ, কারণ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তাদের দেহাবশেষ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
হামাস এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
সংগঠনটির দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতইসঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়।
এদিকে চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরাইল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।




