‘সব দল’ অংশগ্রহণ করবে আগামী সংসদ নির্বাচনে, আশা গোয়েন লুইসের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০২:৩৩ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: আগামী সংসদ নির্বাচনে ‘সব দল’ অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গোয়েন লুইস বলেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে। আশা করি, সব দল এই নির্বাচন যুক্ত হবে।
এসময় আগামী মাসগুলোতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সামনের দিকে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিবের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন, রোহিঙ্গা সমস্যা ও তাদের প্রত্যাবর্তন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন গোয়েন লুইস।
সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়। গোয়েন লুইসের সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ের সিনিয়র হিউম্যানরাইটস অ্যাডভাইজার হুমা খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদও ছিলেন সে বৈঠকে। বৈঠকের পরে আমীর খসরু জাতিসংঘের আবাসিক সমস্বয়কারী গোয়েন লুইসকে নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আসেন।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে- বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জাতিসংঘের যে একটা প্রতিশ্রুতি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আনতে গেলে যে গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড চর্চা, একে অপরের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আজকে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। এই মুহুর্তে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে গেলে নির্বাচনের মাধ্যমে সেই কাজটা আমাদেরকে করতে হবে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের আলোচনা চলছে… এটাকে কীভাবে সফলভাবে আমরা সমাপ্ত করতে পারি, সেটা আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং কক্সবাজারে তাদের সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, রোহিঙ্গাদের যে কক্সবাজারে অবস্থান, তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ… যতদিন তাদের প্রত্যাবাসন করা না যায়, ততদিন তাদের বিষয়ে যে জাতিসংঘ তার সমর্থন ব্যক্ত করেছে, এটাকে আমরা কীভাবে আরো উন্নততর করতে পারি, ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির অবদানের কথা স্মরণ করে আমীর খসরু বলেন, আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি গোয়েনকে, বিগত দিনে স্বৈরাচারবিরোধী যে আন্দোলন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে সেখানে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তিনি (গোয়েন লুইস) গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে তার যে অবদান সেটাকে আমরা স্বীকৃতি দিতে চাই, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি।
‘অত্যন্ত কঠিন সময়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গোয়েনের যে ভূমিকা সেই সময়ে ছিল, সেজন্য আমরা তার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছি আজকে, ওই সময়গুলোতে তার সাহসী ভূমিকা ছিল এবং জাতিসংঘের চার্টার অনুযায়ী যে, প্রত্যেকটি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের পক্ষে গোয়েন সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন একটা স্বৈরাচারের আমলে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গোয়েন লুইস তার মেয়াদ শেষ করেছেন। তিনি এখন বাংলাদেশে ছেড়ে অন্য দেশে যাবেন।




