আ. লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধ করতে হবে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে: নাহিদ ইসলাম
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৭:২২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: শুধু শেখ হাসিনা নয় বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জুলাই আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ৪৭ তম সাক্ষী নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ করে শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকে আমার সাক্ষ্য দেয়া জেরা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছি। এটা অবশ্যই মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এই অপরাধ লেখা হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, এই মামলায় ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে আসামি করে মামলা চলমান। আমি মনে করি এটা শুধু ব্যক্তির সংঘটিত অপরাধ নয় বরং এটা রাজনৈতিক অপরাধ। ফলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। ট্রাইব্যুনালের সে সুযোগ আছে। আমরা আবেদন জানাবো। ট্রাইব্যুনালের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ এসেছে। শেখ হাসিনা যেহেতু দলীয় প্রধান, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছিলেন। ফলে এটা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় দ্রুত সময়ে আনা উচিত।
আন্দোলনে দেশি বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল এমন অভিযোগের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে এক দফা ঘোষণা করে তাকে উৎখাত করার প্রস্তুতি নেয়া বৈধ। এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই। জনগণের পক্ষ থেকে বৈধ ছিল। জনগণের অভ্যুত্থান হিসেবে জুলাই আগস্ট সংঘটিত হয়েছে। এখানে দেশি বিদেশী শক্তির কোনো ইন্ধন ছিল না। জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করে সফলতা নিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনা সহ অন্যরা বিচারের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে তারা দেশত্যাগ করেছে। দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম কে জেরা করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী। এর আগে সাক্ষ্য শেষ করে দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন ভিকটিমরা যেন ন্যায়বিচার পান।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে আন্দোলনকারী ছাত্র সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য তে বলেন নাহিদ ইসলাম। এরপর সাক্ষ্য শেষে জেরা শুরু হয়।
এ মামলায় ৪৭ জন জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। আজ এ মামলায় ৪৮ তম সাক্ষী দেন আলী আহসান জুনায়েদ। যেখানে দায়ীদের বিচার চান তিনি।




