পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক নতুন মাত্রায়, ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও সমঝোতা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:৫১:৫৫ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন সফরে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এ সফরে উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরে পাকিস্তানি ও চীনা কোম্পানিগুলো প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছে। এসব চুক্তি শিল্প, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) মোট পরিমাণ ৭ বিলিয়ন ডলার। এগুলোর আওতায় অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি, কৃষি, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। শাহবাজ জানান, এসব চুক্তি ও এমওইউ বাস্তবায়নে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
সিপিইসি ও নতুন করিডর
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে সিপিইসি’র দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। কৃষি, খনিজ ও খনন, বস্ত্রশিল্প, শিল্পায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পাঁচটি নতুন অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, গণমাধ্যম এবং কৃষি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্যও একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
উভয় দেশ সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এসময় স্বাক্ষরিত যৌথ কর্মপরিকল্পনাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শাহবাজ শরিফ চীনা নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সংস্কার কর্মসূচি সফল করার পেছনে চীনের অব্যাহত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি করাকোরাম মহাসড়ক পুনঃনির্ধারণ, মেইন লাইন-১ রেলপথ উন্নয়ন এবং গওয়াদার বন্দরের কার্যকরীকরণের মতো বড় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
বিনিয়োগ সম্মেলন ও ব্যবসায়িক সুযোগ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, শিগগিরই চীনা মূলধন বাজারে পান্ডা বন্ড ইস্যু করা হবে। এছাড়া আগামী বেইজিং বিনিয়োগ সম্মেলনে ৩০০-র বেশি পাকিস্তানি এবং ৫০০-র বেশি চীনা কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং সফরের সমাপ্তিতে শাহবাজ শরিফ ও তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন, যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও যৌথ অর্থনৈতিক ভিশনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।




