যুক্তরাজ্যে আগেভাগে বেরি পাকার ঘটনা প্রমাণ করছে প্রকৃতি চাপে আছে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২:৫৩:২৫ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: কবি জন কিটস শরৎকে বলেছেন “কুয়াশা আর স্নিগ্ধ ফলনের ঋতু”। কিন্তু এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রচুর ব্ল্যাকবেরি পাওয়ার আশা যারা করেছিলেন, তারা হয়তো হতাশ হবেন।
যুক্তরাজ্যের অনেক জায়গায় গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্র্যাম্বল গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে, আর এখন কিছু গাছে কেবল শুকনো ও কুঁচকে যাওয়া বেরি ঝুলছে। শুধু তাই নয়, শরতের আরও কয়েকটি চিহ্ন এ বছর অস্বাভাবিকভাবে আগেভাগে দেখা যাচ্ছে: গাছে গাছে পাতা ঝরছে, আপেল পাকছে, আর একর্ন (ওক গাছের ফল) মাটিতে পড়তে শুরু করেছে।
কিন্তু আবহাওয়া এখনও উষ্ণ। তাই এটি শুধু আগেভাগে শরৎ আসার বিষয় নয়, বরং বিশেষজ্ঞদের মতে প্রকৃতি চাপে পড়েছে।
ইংল্যান্ডে এই গ্রীষ্মে ইতিমধ্যেই চতুর্থ তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, আর দেশের পাঁচটি অঞ্চল এখন খরার মধ্যে রয়েছে।
“আমরা যা দেখছি তার অনেকটাই এসেছে খুব গরম আর খুব শুষ্ক বসন্ত ও গ্রীষ্ম থেকে। এটি রেকর্ড করা সবচেয়ে শুষ্ক সময়গুলোর একটি,” বলেছেন ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্টসের জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রমাণ বিষয়ক পরিচালক ক্যাথরিন ব্রাউন। “তাই মনে হচ্ছে শরৎ আগেভাগে এসেছে, কিন্তু আসলে প্রকৃতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এই অস্বাভাবিক গরম আর শুষ্ক মৌসুমের প্রতি—যা মৌসুমী চক্র অনুযায়ী আমাদের প্রজাতিগুলো মানিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নয়।”
ব্রাউন বলেন, কিছু বার্চ ও পপলার গাছ ইতিমধ্যেই বাদামি হয়ে গেছে এবং পাতা ঝরতে শুরু করেছে, আর তার নিজের বাগানেও ওক গাছ থেকে একর্ন পড়তে শুরু করেছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “গাছগুলো চাপের কারণে আগেভাগেই বীজ ফেলছে, কারণ তারা এক ধরনের ‘বিমা কৌশল’ প্রয়োগ করছে।” সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান



