সিলেট: ৮৯ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:১১:০৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে অবৈধ পাথর লুট ও পাচারের বিরুদ্ধে বুধবার রাত থেকে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (১৩ আগস্টে) ১২ হাজার ঘনফুট, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্টে) ৩৫ হাজার ঘনফুট, এবং গোয়াইনঘাটের জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে আরও ২ হাজার ঘনফুট। এসব পাথর ফেরত দেওয়া হচ্ছে সাদা পাথর এলাকার নদীতে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে কাঁচপুর ব্রিজসংলগ্ন ডেমরার সারুলিয়ায় র্যাব-১১ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় আরও ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর।
এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মোট পাথরের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ঘনফুট। তবে র্যাবের হিসাবে, সাম্প্রতিক সময়ে সাদা পাথর এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ঘনফুট পাথর এবং ৬ লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়েছে—যার বাজারমূল্য মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
অভিযানে চেকপোস্টে থামিয়ে প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে ৭০টি ট্রাক থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে ধলাই নদীতে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, উদ্ধার করা পাথরের বড় অংশ ইতিমধ্যে ধলাই নদীতে ফেরত দেওয়ার কাজ চলছে, যাতে প্রাকৃতিক প্রবাহ ও পরিবেশ পুনরুদ্ধার হয়। পাশাপাশি রাতেই অবৈধ পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নেমেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র সাদাপাথর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পাচারে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে এই লুটপাট এত বেড়েছে যে নদীর তীরবর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে উত্তোলিত সব পাথর উদ্ধার এবং জড়িতদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ বাঁচাতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, মজুত বা পাচারে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গতরাত থেকে চেকপোস্টে প্রায় ১৩০টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭০টির পাথর সাদাপাথর এলাকা থেকে আনা বলে শনাক্ত হয়। সেগুলো পুনরায় নদীতে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’




