সিলেট: তামাবিল স্থলবন্দরে দুর্নীতি নিয়ে যা জানা গেল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৫, ২:২৯:১০ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর তামাবিলে দূর্নীতি বেপরোয়াভাবে চলছে। ফলে বিরাট বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে অসাধু কর্মকর্তা ও সিএনএফ এজেন্টরা। ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা।
ভারতীয় পাথরবাহী প্রতি ট্রাকের কারপার্স এর বিপরিতে প্রাথমিকভাবে পোর্ট কর্তৃপক্ষ ৭০ টাকা ও কাস্টম্স কর্তৃপক্ষ ৩শ’ টাকা হারে নিচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে কারপার্স এর বাইরে অতিরিক্ত পণ্যের ট্যাক্স বাবৎ আরও ৭৯০টাকা হারে সিএনএফ এজেন্ট রফিক সরকার (লাইসেন্সধারী), রফিক আহমদ (লাইসেন্সধারী), সালমান হোসেন (লাইসেন্স বিহীন), মাসুম আহমদ (লাইসেন্স বিহীন) এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। পণ্য আনলোড করার পর বিধি মোতাবেক সর্বনিম্ন ৩০% খালি গাড়ী ওজন (পরিমাপ) করার বিধান রয়েছে। তামাবিল স্থলবন্দর, কাস্টম্স ও সিএনএফ যোগসাজেসে খালি গাড়ী ওজন (পরিমাপ) না করে সাড়ে ৭টন হতে ৮টনের খালি গাড়ীকে এ্যাভারেজ ৯টন ধরে ওজন নির্ণয় করছেন।
জানা যায়, প্রতিদিন তামাবিল স্থলবন্দরে অন্তত সাড়ে চার শতাধিক পাথরবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। ফলশ্রুতিতে কারপার্স এর বাইরে অতিরিক্ত পণ্যের ট্যাক্স বাবৎ আরও ৯৭০ টাকা হারে ট্যাক্স আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত আদয়কৃত রাজস্বের পুরোটাই রাজস্ব কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করছেন কাস্টম্স, পোর্ট ও সিএনএফ এজেন্টরা অভিযোগ ব্যবসায়িদের। এছাড়া গাড়ী প্রতি প্রাথমিক ৩৭০ টাকা হারে আদায় বাকী রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা হারে মাসে ২ হতে ৩ কোটি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে কাস্টম্স, বন্দর (পোর্ট) ও সিএনএফ এজেন্টরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বিভাগীয় তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে তামাবিল স্থলবন্দরের রাজস্ব ফাঁকি।



