গোপালগঞ্জের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:২১:৪১ অপরাহ্ন
মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন: সম্প্রতি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তিকালীন সরকারের নির্দেশে গণহত্যার ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার
কেয়ার স্টারমার বরাবরে হৃদয়ে ৭১ একটি স্মারক লিপি প্রদান করেছে। লন্ডন ভিত্তিক সংগঠন হৃদয়ে ৭১-এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতানের নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ১ আগষ্ট ২০২৫ শুক্রবার ১০ নাম্বার ডাউনিং ষ্ট্রীটে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপিটি প্রহন করেন ডাউনিং ষ্ট্রীটের একজন কর্মকর্তা। স্মারকলিপি প্রদানে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, আলীমুজ্জামান, ধনঞ্জয় পাল, শাহ জান্নাত সুলতানা রুমী হক ও গোলাম রসুল খান।
স্মারকলিপিতে বলা হয় অবৈধ দখলদার ইউনুস সরকারের অনিবন্ধিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও একটি মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধী ধ্বংসের পরিকল্পনা নিয়ে সামরিক প্রহরায় "মার্চ" করে গোপালগঞ্জ পৌঁছে এবং সেখানে জাতির পিতার
বিরুদ্ধে অপমানকর, আক্রমণাত্মক ও উস্কানীমূলক বক্তব্য দিতে থাকলে স্থানীয় জনগণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এবং সেনাবাহিনী নিরস্ত্র, শান্ত জনগণের উপর গুলি ছুঁড়ে। সেনাবাহিনীর গুলিতে সরকারি হিসেবে অন্তত ৪ জন (প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মতে ১০/২০ জন) মানুষ নিহত হয়। গুলিতে শত শত মানুষ আহত হয়।
এসব মৃত্যুর ও আহতের বিষয়ে ঘটনার পূর্বে বা পরে সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি লাশ গুলোর পোস্ট মর্টেম না করে তড়িঘড়ি করে কবর দিতে নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।
ইউনুসের সরকার দুই জন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার ও এসব বয়ঃবৃদ্ধ ব্যক্তিবর্গকে খুনের মামলার আসামী করে যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান ও নাজেহাল করা হচ্ছে। ককেয়জন
মানবাধিকার কর্মি ও সাংবাদিককে মিথ্যা খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সহ দেশব্যাপী সরকারী মদদে চলছে মবসন্ত্রাস। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের মদদে উগ্রমৌলবাদিরা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার
চালিয়ে যাচ্ছে । দেশের সংবাদ মাধ্যম গুলো সংবাদ প্রচার করতে পারছেনা। বর্তমান বাংলাদেশে আইনের শাসন নাই বললেই চলে। এমতাস্থায় ১৮ কোটি মানুষকে আইন, শৃংখলা ও সাংবিধানিক গনতান্ত্রিক পথে চলতে সহায়তার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করা হয় স্মারক লিপিতে।



