‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:২০:৫০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনাসহ সব খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া ও ‘ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল, মিডিয়া লীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এ মার্চ শুরু করা হয়। ইন্ডিয়ান হাইকমিশন অভিমুখে মার্চে অংশ নেন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশপন্থি সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি অংশ, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পুলিশি বাধার মুখে এক পথসভায় জুলাই ঐক্যর অন্যতম সংগঠক সাদিক আরমান বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আমাদের ভোটাধিকার হত্যা করা ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। ভারত নিজেদেরকে আমাদের প্রভু মনে করে। আমাদেরকে মনে করে, আমরা তাদের গোলাম। ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, আমার ন্যায্যতার সম্পর্ক চাই, গোলামির সম্পর্ক চাই না। আমরা সমতা ভিত্তিতে সম্পর্ক চাই।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরদিন ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ওসমান হাদিকে দিন-দুপুরে গুলি করা হয়েছে। হাদিকে গুলি করা হয়েছে ঢাকায়, খুনিকে পাওয়া যায় ভারতে। এখান থেকে বোঝা যায়, হাদিকে গুলি করার জন্য কারা দায়ী।
জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের প্রক্সি শক্তিগুলো নতুন করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সংগঠনটি। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জুলাই আন্দোলনের এক মুখ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ভারতীয়দের একাংশ আনন্দ-উল্লাস করেছে। এসব ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তারা জানায়, বাংলাদেশ ২.০-তে কোনো আধিপত্যবাদ আমরা মেনে নেব না।
এর আগে, চলমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বুধবার দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।



