নিউপোর্ট যুবলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩১:১৭ অপরাহ্ন
সাজেল আহমেদ, নিউপোর্ট (যুক্তরাজ্য): যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের নিউপোর্ট শাখার উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার মাধ্যমে জাতির সূর্যসন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টায় স্থানীয় তারানা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নিউপোর্ট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউপোর্ট আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শেখ মোহাম্মদ তাহির উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর।
অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বক্তব্য দেন ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, নিউপোর্ট যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব, মো. নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান, আনহার মিয়া, রুহুল আমিন, সিতাব আলি, রহিম বাবুল, সুয়েব হুসেইন, মৌলা আফতাব, বাবলু খান ও রাজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মোহাম্মদ তাহির উল্লাহ বলেন, “১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক দিন। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালায়।”
বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ মকিস মনসুরসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে দেশের কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তারা তাঁদের মেধা, মনন ও সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে জাতিকে স্বাধীনতার পথে উজ্জীবিত করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ঠান্ডা মাথায় জাতির বিবেক ও ভবিষ্যৎ—শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ইতিহাসের এক ঘৃণ্যতম অধ্যায় রচনা করে। এ ক্ষতি কখনো পূরণ হওয়ার নয়।



